মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন মীরুকে আমরা চিরকাল স্মরণ করবো -মুহম্মদ রবীউল আলম// মেহেরপুরের আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রদূত। মেহেরপুরকে এগিয়ে নিতে তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি হলেন আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় নাসির ভাই।গত ২০সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার রাত ৯ টার মেহেরপুরের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নাসির উদ্দীন মিরু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন মীরুকে মেহেরপুরবাসী চিরকাল স্মরণ করবে।
মেহেরপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন মীরু। তিনি আমার গুরু, আমার পথ প্রদর্শক। তিনি কারো শ্রদ্ধেয় বড় ভাই, কারো আঙ্কেল, কারো চাচা,কারো দাদা। মেহেরপুরের সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। মেহেরপুরের উন্নয়নই তাঁর জীবনের একমাত্র চাওয়া ও পাওয়া ছিলো। মেহেরপুরের জন্য তিনি জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিলেন। টাকা-পয়সা বা ক্ষমতা তিনি কোন কিছু চাননি । তিনি শুধু চেয়েছেন মেহেরপুরের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন। সারা জীবন দুঃখ-কষ্ট সাথে নিয়ে সমাজের জন্য সংস্কৃতির জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন। মেহেরপুরের তরুণ প্রজন্মকে আলোর পথ দেখানোর জন্য এখানে ওখানে ঘুরেছেন। পরিবারের জন্য কিছুই করে যাননি। যোগ্যতা অনুসারে তিনি বড় কোন পদেও তিনি থাকেননি। তিনি আমার আদর্শ। তিনি আমাকে পথ দেখিয়েছেন মেহেরপুরকে জানতে, মেহেরপুরের জন্য কিছু করতে। ষাটের দশকে রবীন্দ্রনাথের জন্ম শত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ, স্কুলে দেয়ালিকা প্রকাশ, অমর একুশে স্মরকপত্র ও কবিতাপত্র বের করার মধ্য দিয়ে তার সংস্কৃতি জগতে প্রবেশ। এরপর পাঁচ দশক ধরে শিল্প সাহিত্য সাংবাদিকতা রাজনীতির নানাদিক নিয়ে নানা ধরনের কাজ করেছেন। নাসির উদ্দীন লেখালেখি জগতের সাথে থাকলেও নিজে তেমন লেখেননি। পড়াশুনার প্রতিই তার বরাবর আগ্রহ। প্রথম যৌবন মাক্স লেনিন মাও জে দং নিয়ে পড়াশুনা করেছেন এবং মার্কসীর দর্শনের আলোকে গড়ে ওঠা সমাজকে শ্রেষ্ঠ সমাজ বলে গন্য করেছেন। তবে সমসাময়িক অন্যান্য তাত্ত্বিকের মতো গোঁড়ামিরা সংকীর্ণতায় আচ্ছন্ন ছিলেন না। অখন্ড মানবিক দর্শনের পক্ষে সব সময় দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। নাসির উদ্দীন পাশ্চাত্য সাহিত্য-দর্শন নিয়ে যেমন পড়েছেন। তেমনি আফ্রো-ঐশীয় লাতিন আমেরিকার সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। সমকালীন সাহিত্যিকদের লেখা পড়েছেন গভীর মনোযোগে। মেহেরপুরের লোক সাহিত্য, ইতিহাস জীবনে নানা কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত করেছেন। তবে সুস্থ, সাংস্কৃতিবান, আলোকিত মানুষ গড়ার জন্য করি কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, অভিনেতা, চিত্র শিল্পী, সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন বেশি। নাসির ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় আমি যখন কলেজে ফাস্ট ইয়ারের ছাত্র।১৯৭৮ সালের দিকে আমি তখন মেহেরপুর কলেজে পড়ি। তখন একটু আধটু ছড়া লিখি, মেহেরপুরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিই। তখন নাসির ভাই মেহেরপুর সরকারী পাবলিক লাইব্রেরীর লাইব্রেরীয়ান। লাইব্রেরীটি ছিল হোটেলবাজার বটতলার সামনে। এডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্যদের বাড়ির পাশে। সেখানে পত্রিকা ও বই পড়ার জন্য আমরা যেতাম। সেখানেই নাসির ভাইয়ের সাথে আমার দেখা হয়, পরিচয় হয়। তাঁর পড়াশুনা ও সাংগঠনিক তৎপরতা আমাকে মুগ্ধ করে। তখন তিনি মধুচক্রের কর্ণধর। আমিও মধুচক্রের সদস্য হয়ে গেলাম। মধুচক্রের অনেক অনুষ্ঠান ও মেলাতে আমি অংশ নিয়েছি। নাসির ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছি, তাঁর বেতবেড়িয়ার বাড়িতেও গিয়েছি। তাঁর নেতৃত্বে আমরা সাংস্কতিক ক্ষেত্রে মেহেরপুরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। পরে আমি ধারাপাত খেলাঘর আসর নামে একটি শিশু সংগঠন করলে তিনি আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি ছিলেন আমাদের উপদেষ্টা। মতিন স্যার ছিলেন সভাপতি। আমি ছিলাম সম্পাদক। এই সংগঠনের মাধ্যমে আমি খেলাঘর আসরের কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য হয়েছিলাম এবং জাতীয় ভাবে পুরস্কারও পেয়েছিলাম। আব্দুর রাজ্জাক খান, ননীগোপাল ভট্টাচার্য, পল্লব ভট্টাচার্য তরুণ, তন্ময়, নফিজ, মানস, আমার ছোট ভাই ইয়ারুলসহ বিশাল একটি বাহিনী নিয়ে মেহেরপুরে একটি শিশু-কিশোর বিপ্লব করে তুলেছিলাম। যে সব ছেলে- মেয়েরা আমাদের সাথে ছিল তারা সবাই এখন প্রতিষ্ঠিত। তারা যখন যোগাযোগ রাখে তখন খুব ভাল লাগে। নাসির ভাইয়ের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো মধুচক্র প্রতিষ্ঠা। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মেহেরপুরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ষাটের দশকে তিনি উদার, প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে ‘মধুচক্র’ নামে এই সাংস্কৃতিক সংগঠনটি গড়ে তোলেন। ১৯৬৭ সালে সংগঠনটির জন্ম হয়। সে সময় এ সংগঠনের উদযোগে অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র-নজরুল, সুকান্ত জন্ম জয়ন্তী, মধুসূদন উৎসব সহ নানা সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে মধুচক্রের আয়োজনে প্রতিবছর মেহেরপুরে মধুমেলা অনুষ্ঠিত হতো। আমি নিজেও এই মেলায় বেশ কয়েকবার অংশ নিয়েছি। এতে থাকতো মুদ্রা,চারুকলা, পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন জিনিসের প্রদর্শনী এবং সাথে থাকতো বিভিন্ন অনুষ্ঠান। নাসির ভাই ছিলেন এই সংগঠনের প্রাণ পুরুষ। ডা. আব্দুল বাকী, ইসলাম আলী, মীর রওশন আলী মনা, কামরুল ইসলাম খান, বদরুজ্জামান,চিত্রশিল্পী গোলাম মোস্তফাসহ অনেকেই ছিলেন নাসির ভাইয়ের সাথে। এপারবাংলা ওপার বাংলার লেখকদের লেখা নিয়ে এই সংগঠন থেকে সংকলন বের হতো। নাসির ভাই ১৯৪৬ সালের ১১ নভেম্বর নদীয়া জেলার তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার করিমপুর থানাপর ফাজিলনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তারা মেহেরপুরে চলে আসেন। তাঁর পিতা নকিবউদ্দিন ছিলেন একজন সচ্ছল কৃষক। মেহেরপুরের নীলমণি সিনেমা হল রোডে তারা বাড়ি করেন। পরে তিনি বাড়িটি দুই ভাইকে দিয়ে এখন ভাড়ায় থাকেন বিভিন্ন জনের বাড়িতে। তিনি মেহেরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করেন। পরে তিনি মেহেরপুর কলেজ থেকে আইকম ও বিকম পাশ করেন। বাল্য কৈশোর থেকেই নেতৃত্বের গুণাবলি তার ব্যক্তি চরিত্রে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ক্রমশ বিকশিত হতে থাকে তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও সৃজন বৈশিষ্ট্য। স্কুল-কলেজে ছাত্রাবস্থায় ‘সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কাজে তিনি ছিলেন অগ্রণী। স্কুল ও কলেজ জীবনে তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।তাঁর পরিমিতিবোধ, দক্ষতা, শিল্পবোধ, চারিত্রিক, দৃঢ়তা তাকে আকর্ষনীয় ও উদাহরণ তুল্য সংগঠকে পরিণত করে। তিনি ১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৬৪ সালে আব্দুল আওয়ালকে সভাপতি সিরাজুল ইসলাম কে সম্পাদক করে মেহেরপুর ছাত্র ইউনিয়নের যে কমিটি গঠিত হয় তাতে নাসির উদ্দীন ছিলেন মূল সংগঠক। এসময়ে তিনি বাম রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। তিনি তখন মেহেরপুর ছাত্র ইউনিয়নের নেতা হয়ে উঠেন। তার সাথে ছিলেন আব্দুল আওয়াল, সিরাজুল ইসলাম। আবুবক্কর, আহমদ আলী, সাখাওয়াৎ হোসেন মুন্সী প্রমুখ নেতারা তখন ভাষানী ন্যাপ করতেন। আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন এ্যাড. আবুল হায়াত, সহিউদ্দিন, মফিজুর রহমান প্রমুখ। মেহেরপুরে বাম রাজনৈতিক দলের লাল টুপি আন্দোলনের নেতৃত্বে তিনি ছিলেন।ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও সক্রিয় থেকেছেন যুগপৎ। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নিয়ে তিনি অসম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোন সনদ বা স্বীকৃতি চাননি তিনি। কারণ তার দৃষ্টিতে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক দালালরা ছাড়া এদেশের সব মানুষ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে কাজ করেছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতে ট্রেনিং নেন এবং মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নিয়ে তিনি অসম সাহসিকতার পরিচয় দেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোন সনদ বা স্বীকৃতি সম্পর্কে তিনি বলতেন, ‘দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি তো স্বীকৃতি কেন চাইবো, এটা আমার কর্তব্য ছিল, তাই করেছি।’ Robiul Robiul Alam মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালেও তিনি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড থেকে সরে থাকেননি। মেহেরপুরে স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা তিনিই প্রথম প্রনয়ন করেন। নাসির উদ্দীন একজন আপদমস্তক রাজনীতি কর্মী। তবে রাজনীতিকে কখনও ক্ষমতা দখলের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেননি। পরবর্তীকালে নাসির ভাইয়ের নেতৃত্বে মেহেরপুর থেকে প্রকাশ পায় ইতিহাস ভিত্তিক পত্রিকা ‘প্রবাহ’। মনে পড়ে ‘প্রবাহ’ পত্রিকাটি প্রকাশকালের কথা। পত্রিকাটি প্রকাশের দায়িত্বে ছিলেন আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আনছার-উল হক, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন ও মোঃ আলী ওবায়দুর রহমান সহ অনেকেই। মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন ছিলেন সম্পাদক ও প্রকাশক। অধ্যাপক শামসুল ইসলাম স্যার লিখতেন মেহেরপুরের প্রাচীন ঐতিহ্য সম্পর্কে। ১৯৭৯ সালের ১৩ই মার্চ, বাংলা ১৩৮৫ সালের ২৮শে ফাল্গুন মেহেরপুর থেকে ‘প্রবাহ’ নামে এই পত্রিকাটি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস বিষয়ক বুলেটিন হিসাবে প্রকাশিত হয়। মেহেরপুর বড় বাজারের এডলিক প্রিন্টিং প্রেস থেকে এটি প্রকাশিত হতো। অনিয়মিত এবং সাহিত্য বিষয়ক বুলেটিন হলেও পত্রিকাটি মেহেরপুরের বিদগ্ধ মহলে খুবই সমাদৃত হয়েছিল। পত্রিকাটিতে মেহেরপুরের ইতিহাস নিয়েই বেশি লেখালেখি হয়েছে। আমি তখন ছাত্র। ‘প্রবাহ’ পত্রিকাটির শিশু বিভাগটি আমার দায়িত্বে ছিল। পত্রিকাটি মাত্র তিনটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। আমি মনে করি মেহেরপুরের ইতিহাসকে তুলে ধরতে শ্রদ্ধেয় নাসির ভাইয়েরা এ ব্যাপারে যে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তা মেহেরপুরবাসী শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। মনে পড়ে নাসির ভাইয়ের সাথে ১৯৮১ সালে আলমডাঙ্গার প্রাগপুর গ্রামে বদরুজ্জামান ভাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে ওসমানপুর-প্রাগপুর হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত আলোর মেলায় আমরা মধুচক্রের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছিলাম। তিনি কুষ্টিয়া থাকাকালীন সময়ে সেখানকার রবীন্দ্র সংগীত পরিষদ, বিজ্ঞান পরিষদ, শিশু একাডেমী সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। মনে পড়ে তিনি যখন বগুড়াতে ছিলেন। তখন আমি বিশিষ্ট সাংবাদিক আলহাজ্ব শামস-উল হুদা সাহেবকে সাথে নিয়ে তাঁর সাথে দেখা করেছিলাম। তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। তিনি ব্যাপক পড়াশুনা করতেন। সব বিষয়ের ওপর তাঁর গভীর পড়াশুনা ছিল। তাঁর সংগ্রহে ছিল অনেক বই। তাঁর বাসায় মেহেরপুর থেকে প্রকাশিত সীমান্ত পত্রিকার বাধানো কপি দেখেছিলাম। তাতে মেহেরপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সাহিত্য সম্পর্কে অনেক লেখা দেখেছি। এ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক, সাখাওয়াত হোসেন মুন্সী, আহমেদ আলী, সফুরা রাজ্জাকসহ অনেকের লেখা দেখেছি।নাসির ভাই কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি যখন অবসর জীবন যাপন করেছেন আর মেহেরপুরের উন্নতি কিভাবে করা যায় তাই চিন্তা করেছেন। মেহেরপুর প্রায় সবগুলো সংগঠনের সাথে তিনি বিশেষ ভাবে জড়িত ছিলেন। বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে তিনি নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন বংশীবাদক। নতুন প্রজন্মে ছেলে-মেয়েরা তার সাথে সাথে ছিল। মেহেরপুরের প্রবীণ সাংস্কৃতিক সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন শেষ জীবনে ঢাকার তাঁর মেয়ে কবি নন্দিতা উর্মির বাসায় অবস্থান করেছেন। তিনি তাঁর মেয়ে কবি নন্দিতা উর্মির বাসায় হঠাৎ ঘরের মেঝেতে পড়ে যান। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বাম হাত ও বাম পা অবশ হয়ে যায়। তিনি ডাক্তারের চিকিৎসাধীনে ছিলেন। আলোকিত মেহেরপুর গড়ার কারিগর ছিলেন নাসির ভাই। তিনি মেহেরপুরে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ও মেহেরপুরের ইতিহাস লিখতে চেয়েছিলেন। মেহেরপুরে চেকপোস্ট,কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ,মাগুরা ও রাজবাড়ী নিয়ে হবে মুজিবনগর বিভাগ,মেহেরপুরে রেললাইন এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করেছেন। তিনি আজ নেই,চলে গেছেন না ফেরার দেশে।আসুন আমরা তাঁর আদর্শকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি।মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি,আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করেন। লেখক: ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সাপ্তাহিক মুক্তিবাণীSlider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: