জ্বলছে শ্রীলঙ্কা, ২০ তারিখে প্রেসিডেন্ট
নির্বাচন জানালেন স্পিকার, ক্ষুদ্ধ আমজনতা
নেই জীবনদায়ী ওষুধ। জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া। খাবারের সঙ্কট। দেনার দায়ে জর্জরিত ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। আর সহ্যের সীমা পার করে যাওয়ার জন্য আন্দোলনে নেমেছে সেদেশের আমজনতা। বিগত কিছু সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চলতে থাকলেও গত তিনদিনে সেই তীব্রতা বেড়ে গিয়েছে। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল করেছে আমজনতা। আজ, বুধবার সকালে দেশ ছেড়ে মলদ্বীপ সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে। তারপরেই আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বেড়েছে কলম্বোতে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী শহরে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংঘের বাড়িকে ঘিরে বিদ্রোহ দেখিয়েছে জনতা। আসলে চরম মূল্যবৃদ্ধির জন্য দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে আমজনতার। তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামলাতে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ও নিজে কার্যকরী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন রনিল বিক্রমাসিংঘে। যদিও সেটা অনৈতিক বলে ঘোষণা করেছে বিরোধী পক্ষ। শ্রীলঙ্কার জনতার একটাই দাবি, দ্রুত নির্বাচন হোক এবং সমস্ত সমস্যার সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুক সরকার। এরই সঙ্গে রাজাপাকসে পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করে সাজা দিক নতুন সরকার। যদিও শ্রীলঙ্কার জ্বলন্ত অবস্থার মধ্যে স্পিকার জানিয়ে দিয়েছেন, এদিন দিনের শেষে পদত্যাগ করবেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায় রাজাপাকসে। আগামী ২০ তারিখ নির্বাচিত করা হবে নতুন প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে দেশে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। পথে নেমেছে বিশাল সেনা ও পুলিস বাহিনী। যদিও জনরোষের কাছে তাঁরা অসহায়। এক সময় যারা লাঠি আর বন্দুকের নলে জনগণদের নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। আজকে তারাই হাতজোড় করে শান্ত হতে দেশের জনতাদের অনুরোধ করছেন। বিক্ষোভ ঠেকাতে ফাটানো হচ্ছে কাঁদানে গ্যাসের সেল। কিন্তু দেশের জনতা নিজেদের দাবিতে অনড়। দিনমজুর, ট্যুরিস্ট গাইড থেকে কলেজের প্রফেশ কিংবা ছাত্র-যুব। সবাই আন্দোলনে নেমেছে। পা মিলিয়েছেন বাইশ গজে ব্যাট হাতে কাঁপানো সনৎ জয়সূর্য। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এইধরণের জনরোষ এশিয়া মহাদেশে খুব কমই দেখা গিয়েছে বলে মত বিশিষ্টদের।
No comments: