গ্রেপ্তার এড়াতে নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করতেন খলিল : র্যাব
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেত্রকোণার খলিলুর রহমান গ্রেপ্তার এড়াতে ঘনঘন বাসা পরিবর্তন করতেন। এমনকি আত্মগোপনে থাকতে মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতেন না তিনি।
খলিলুরকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া ও লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই খলিলুর পালিয়ে রাজধানীর দক্ষিণখান, তুরাগ ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করতেন। এ সময় গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করতেন এবং একা থাকতেন।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, খলিলুর আত্মগোপনে থাকাকালে মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। তবে মাঝেমধ্যে পরিবারের সদস্যরা গোপনে তার সঙ্গে দেখা করত এবং নিয়মিত টাকা পাঠাত।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন খলিল। পরে তিনি নেত্রকোণার চণ্ডিগড় ইউনিয়নে আল-বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার বিভিন্ন এলাকায় ২২ জনকে হত্যা, এক নারীকে ধর্ষণসহ তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ ছিল।এ মামলায় খলিলসহ আসামি ছিলেন পাঁচজন। বিচার শুরুর আগে একজন ও পরে তিন আসামির মৃত্যু হয়।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর খলিলুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
Tag: English News politics
No comments: