Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » আলজেরিয়ায় ফাতাহ-হামাসের ঐতিহাসিক চুক্তি




ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ভেদাভেদ ও বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে দেশটির বিবাদমান দল ও গোষ্ঠীগুলো। সেই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন গোষ্ঠীগুলোর নেতারা। আলজেরিয়ায় স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির আওতায় একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐক্যের পাশাপাশি ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের কথাও রয়েছে। একই সঙ্গে আগামী এক বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। আলজেরিয়ার মধ্যস্থতায় দুইদিনব্যাপী বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ওই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ফিলিস্তিনের জাতীয় মুক্তি আন্দোলন ফাতাহ ও ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী এ সমঝোতা চুক্তিকে স্বাক্ষর করে। একে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি বলে অভিহিত করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ফাতাহ ও হামাসের মধ্যকার গত ১৫ বছরের বিভাজন ও মতানৈক্য দূর হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। আলজেরিয়ার বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, ‘আলজিয়ার্স ঘোষণা’ নামক সমঝোতায় চুক্তিতে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতভেদ সমাধান করার ওপর জোর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা পিএলও ফিলিস্তিনি জাতির একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি। বিভিন্ন পক্ষ কার্যকরভাবে জাতীয় সমঝোতা বাস্তবায়নে রাজি হয়েছে। নতুন ফিলিস্তিন গড়ার এ রূপরেখায় বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে ভেদাভেদের অবসান ঘটিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। এজন্য পশ্চিম তীর ও গাজাসহ ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত জনপদে নির্বাচনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি শক্তিগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক অংশীদারিত্ব সংহতকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে এক বছরের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর এক বক্তব্যে ফিলিস্তিনের জাতীয় মুক্তি আন্দোলন ফাতাহ’র শীর্ষ কর্মকর্তা আজম আল আহমেদ চুক্তি বাস্তবায়নের জোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের শরীরে ভেদাভেদের ক্যান্সার বাসা বেধেছে তা থেকে মুক্তি পেতেই এই চুক্তি। যেকোনো মূল্যে চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে। এ চুক্তিকে আলজেরিয়া ও ফিলিস্তিনের আনন্দের উপলক্ষ অভিহিত করেছেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। দলটির রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠিত আলোচনার ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট ও আশাবাদী। হানিয়া আরও বলেন, ফিলিস্তিনি ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আলজেরিয়ার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আলজেরিয়ার জাতীয় দায়িত্ব ও ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে ঐতিহাসিক ও আবেগিক সংযোগের জায়গা থেকে আলজেরিয়া সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ সংলাপ আয়োজনের সঙ্গে জড়িত আলজেরীয় টিম প্রায় একবছর ধরে ধৈর্য্য এবং এক পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গী অন্য পক্ষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার বা হস্তক্ষেপ না করার নীতি অটুট রেখে সক্রিয় ছিলো। যার ফলাফল স্বাভাবিকভাবেই ভালো হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বার্থের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জগুলোকে আমরা উতরে যেতে সমর্থ হয়েছি। গত মঙ্গলবার আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টে আবদেল মজিদ তেব্বনের মধ্যস্থতায় রাজধানী আলজিয়ার্সের ন্যাশনাল প্যালেসে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে দীর্ঘদিন পর মুখোমুখি হন ফাতাহ ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ। ফাতাহ, হামাস ও ইসলামিক জিহাদের শীর্ষস্তরের নেতারা এ বৈঠকে যোগ দেন। ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গাজা উপত্যকায় হামাসের বিপুল বিজয় ও ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ফিলিস্তিনি পক্ষগুলোর বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতের সমাধান নিয়ে মতবিরোধের কারণে এর আগে দুইপক্ষের আলোচনা কোনো ফল আনতে ব্যর্থ হয়। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নির্বাচন আয়োজনে ফাতাহ নেতাদের অনীহার কারণেও হামাসের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। গত বছর নির্বাচনের কথা থাকলেও মাহমুদ আব্বাস জেরুজালেমের ফিলিস্তিনি অধিবাসীদের ভোটের বিষয়ে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা শেষ না হবার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন। অভিযোগ রয়েছে, আব্বাস নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে জেরুজালেমের ফিলিস্তিনিদের ভোটকে কাজে লাগাতে চান। গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসলামিক জিহাদের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ইসরাইলের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগের কারণে পশ্চিম তীরেও আব্বাসের গ্রহণযোগ্যতা কমে গেছে। আলজিয়ার্স ঘোষণায় ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে (পিএ) ফিলিস্তিনি জনপদের প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে অবিলম্বে নির্বাচন আয়োজনের শর্তারোপ করা হয়েছে। এছাড়া ফিলিস্তিনের বিভিন্ন পক্ষ কিভাবে এ চুক্তি বলবত, ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ করছে তা আরব লীগকে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়া হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply