Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বোরকা পরলেই জরিমানা, নতুন আইন আনছে সুইজারল্যান্ড




বোরকা কিংবা মুখ ঢাকা থাকে এমন পোশাক পরে রাস্তায় বের হওয়া যাবে না। বোরকার ব্যাপারে এমন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নতুন একটি আইন আনছে সুইজারল্যান্ড সরকার। আইন অমান্য করলে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। ‘বোরকা ব্যান’ বলে পরিচিত প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, মুখ ঢেকে রাস্তায় বের হলে ৯০০ পাউন্ড বা ১ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ২ হাজার টাকার সমান। বুধবার (১২ অক্টোবর) আইনের খসড়া পার্লামেন্টে পাঠানো হয়েছে। তবে নতুন আইনের খসড়ায় বোরকা পরার ব্যাপারে বেশ কিছু জায়গায় ছাড় দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে, ধর্মীয় স্থানে বা বিমানে বোরকা পরা যাবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনো নির্দেশিকা জারি হলেও মুখ ঢেকে রাস্তায় বের হওয়া যাবে। ইউরোপের দেশগুলোতে বোরকা বা হিজাব বিতর্ক নতুন নয়। উপমহাদেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান ইসলামভীতি ও মুসলিম বিদ্বেষের মধ্যে একটার পর একটা দেশে বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সুইজারল্যান্ডে বোরকা নিষেধাজ্ঞার আইন করা হচ্ছে। বোরকা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গত বছর একটি গণভোটের আয়োজন করে সুইজারল্যান্ড সরকার। তাতে দেশটির ৫১.২ শতাংশ নাগরিক নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দেয়। তবে ইসলামভীতি ও মুসলিম বিদ্বেষের মধ্যে এমন ভোটাভুটির আয়োজন করা-- এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়। আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিচ্ছে ন্যাটো গণভোটের সেই বিতর্কিত রায়ের ওপর ভিত্তি করে এখন নতুন আইন প্রণয়ন করছে সরকার। আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, মুখ ঢাকা পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হচ্ছে জননিরাপত্তা ও শৃঙখলা নিশ্চিত করা। কাউকে শাস্তির আওতায় আনা আইনের মূল উদ্দেশ্য নয়।’ আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনটি সাধারণভাবে ‘বোরকা ব্যান’ বলে পরিচিত হলেও এতে বোরকা বা নিকাবের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, মুখ ঢাকে এমন পোশাকের কথা। খসড়া আইনমতে, নাগরিকদের বাড়ির বাইরে সড়কে চলাচল করার সময় কিংবা কর্মক্ষেত্র, রেস্তোরাঁ, সুপারমার্কেট বা যে কোনো জনসমাগমপূর্ণ স্থানে অবশ্যই মুখঢাকা বোরকা পরা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। চোখ, নাক ও মুখ অবশ্যই দৃশ্যমান থাকতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো মুসলিম নারী চুল আবৃত করে এমন হিজাব পরতে পারবেন। তবে কোনো নিকাব (শুধু চোখ দেখা যায় এমন পোশাক) বা বোরকা (মুখসহ পুরো শরীর ঢাকে এমন পোশাক) পরতে পারবেন না। সুইজারল্যান্ডের প্রধান ডানপন্থি রাজনৈতিক দল সুইস পিপল’স পার্টির একটি সংসদীয় কমিটি বুধবার পার্লামেন্টে এ আইনের খসড়া প্রস্তাব জমা দেয়। পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সমর্থন দিলে প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হবে। আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রক্তপাতের অবসানই তুরস্কের লক্ষ্য: এরদোগান বিল উপস্থাপন করা হলে পার্লামেন্টের অধিকাংশ আইনপ্রণেতা তার পক্ষে ভোট দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডের মুসলিমদের সংগঠন ‘দ্য ফেডারেশন অব ইসলামিক অর্গানাইজেশন ইন সুইজারল্যান্ড’ অবশ্য প্রস্তাবিত এই আইনের নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, ‘সাংবিধানিকভাবে নারীদের পোশাকবিধি নির্দিষ্ট করে দেয়া নারী স্বাধীনতার পরিপন্থি একটি পদক্ষেপ।’ ৪১ হাজার ২৮৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ সুইজারল্যান্ডে জনসংখ্যা ৮৬ লাখের কিছু বেশি। আর দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ মুসলিম এবং তাদের প্রায় সবাই তুরস্ক, বসনিয়া ও হারজেগোভিনা এবং কসোভো থেকে আসা। সুইজারল্যান্ডের লুক্রেন ইউনিভার্সিটি সম্প্রতি একটি জরিপ চালিয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, পুরো সুইজারল্যান্ডে মাত্র ৩০ জন মুসলিম নারী মুখঢাকা বোরকা পরেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply