Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র




দুই দশক আগে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে করা বিবিসির একটি তথ্যচিত্র নিয়ে তোলপাড় চলছে। বিবিসি২ নামে যুক্তরাজ্যের চ্যানেলটিতে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি গত সপ্তাহে (১৭ জানুয়ারি) সম্প্রচার করা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস সেই থেকে তথ্যচিত্রটি নিয়ে আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যম বিশেষ করে টুইটারে বিষয়টি নিয়ে সারাক্ষণ তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারই (১৯ জানুয়ারি) এই তথ্যচিত্রকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ ও ‘ঔপনিবেশিক মানসিকতা’র প্রতিফলন বলে নিন্দা জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। তথ্যচিত্র নিয়ে এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বিষয়টি নিয়ে এবার নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল যুক্তরাষ্ট্রও। আরও পড়ুন: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র: টুইটার-ইউটিউব লিংক ব্লকের নির্দেশ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের কোনো তথ্যচিত্র সম্বন্ধে অবগত নয়। তবে দুই দেশ যে ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে’ সম্পৃক্ত সেই বিষয়ে অবগত।’ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নেড প্রাইস বলেন, ‘ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। তার অন্যতম কারণ হলো ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করে।’ সংবাদ সম্মেলনে বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রাইস সরাসরি বলেন, ‘আপনি যে তথ্যচিত্রের কথা বলছেন সেই বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ সম্পর্কে আমি অবগত।’ আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গা /মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র, ভিত্তিহীন বলছে ভারত প্রাইস জানান, নয়াদিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের বৈশ্বিক কৌশলগত বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করার জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক। কী আছে তথ্যচিত্রটিতে তথ্যচিত্রটিতে প্রধানত দেখানো হয়েছে, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গাকে ব্যবহার করে সেই সময় ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কীভাবে ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন। এমন অনেক কথাই ছবিটিতে বলা হয়েছে, যা নতুন নয়। কিন্তু যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এক জায়গায় এনে বিবিসি একটি তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছে। তত্ত্বটি হলো, গুজরাট দাঙ্গা মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছে। এই প্রক্রিয়ায় কীভাবে তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ও হিন্দুত্ববাদী নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ভারতের বিচারব্যবস্থা তাকে সাহায্য করেছে, তা দেখানো হয়েছে ছবিতে। প্রায় এক ঘণ্টার তথ্যচিত্রটির সবচেয়ে ‘এক্সক্লুসিভ’ বা অতীতে প্রকাশ্যে না আসা বিষয় হলো, গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি গোপন প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত (অর্থাৎ দাঙ্গার সময়ে) থাকা ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্র। তথ্যচিত্রে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের গভীর সম্পর্কের কারণে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। সেই কারণে তিনি প্রতিবেদনটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে স্ট্র জানিয়েছেন। স্ট্র বলেন, ‘আমরা একটি দল গঠন করেছিলাম, যে দলটি গুজরাটে যাবে এবং দাঙ্গার তদন্ত স্বাধীনভাবে করবে। তারা একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল।’ বিবিসির প্রতিবেদনটির একটি অংশে যুক্তরাজ্যে সরকারের ওই কূটনৈতিক বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। এটিকে ‘রেস্ট্রিকটেড’ বা নিয়ন্ত্রিত একটি বার্তা বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ওই সহিংসতাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে। গোপন প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে তথ্যচিত্রে আরও বলা হয়েছে, ‘এই সহিংসতার উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করা এবং পরিকল্পনাভিত্তিক এই হিংসার মধ্যে এথনিক ক্লিনজিং-এর (জাতিগত নিধন) সুস্পষ্ট চিহ্ন ছিল।’ তদন্তকারী দলের সদস্য যুক্তরাজ্যের এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক তার নাম বা ছবি প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসিকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তার সেই সাক্ষাৎকার উদ্ধৃত করা হয়েছে তথ্যচিত্রে। গুজরাট দাঙ্গা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, মুসলিম সমাজকে পরিকল্পনামাফিক আক্রমণ করা হয়েছিল। উগ্রপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এ কাজ করেছিল। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোপন প্রতিবেদনে আরও দুটি জিনিস বলা হয়েছে। এক, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এককভাবে রাজ্য সরকারের সাহায্য ছাড়া এই দাঙ্গার নেতৃত্ব দিতে পারত না। দুই, ‘নরেন্দ্র মোদি সরাসরিভাবে এর জন্য দায়ী’—এমনটাই জানিয়েছে বিবিসির তথ্যচিত্র।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply