Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » রাজধানীজুড়ে ৩০টি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ





রাজধানীজুড়ে নতুন ৩০ জঙ্গি আস্তানা
অভিযানের আগেই আত্মগোপনে জঙ্গিরা

কল্যাণপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃংখলা বাহিনী

রাজধানীজুড়ে ৩০টি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে বস্তিতে ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল তারা। এসব আস্তানায় নতুন সদস্য সংগ্রহের পর তালিমের নামে ‘মগজ ধোলাই’, অস্ত্র চালানোসহ নানা প্রশিক্ষণ দেয়া হতো। আস্তানাগুলোতে পুলিশের গোপন অভিযান শুরুর আগেই পালিয়ে গেছে জঙ্গিরা।

তবে কয়েকটি আস্তানার তালা ভেঙে তল্লাশির পর সেখানে কিছু আসবাবপত্র, জিহাদি বই ও বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। আর কয়েকটিতে কৌশলগত কারণে কোনো তল্লাশি চালানো হচ্ছে না। এর পরিবর্তে সেখানে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি চলছে। এসব আস্তানায় অসংখ্য জঙ্গির যাতায়াত ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে গোয়েন্দারা। জঙ্গিদের উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিরা নতুন করে সংগঠিত হয়ে ফের নাশকতা চালাতে পারে বলেও আশংকা তাদের। গ্রেফতারকৃত একাধিক জঙ্গি সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই ৩০ আস্তানার সন্ধান পায় গোয়েন্দারা।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম    বলেন, একের পর এক অভিযানের মুখে অনেক আস্তানা ফেলে জঙ্গি সদস্যরা পালিয়ে গেছে। এদের অনেকেই ঢাকার বাইরে চলে গেছে। ইতিমধ্যেই নতুন করে ৩০টি জঙ্গি আস্থানার সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব অস্তানায় অভিযানসহ গোয়েন্দা নজদারি চলছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাপক নজরদারি ও ব্লক রেইডের কারণে জঙ্গিদের সক্ষমতা এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে উল্লেখ করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, রাজধানীর উপকণ্ঠসহ সারা দেশে জঙ্গিরা যাতে আর আস্তানা গড়ে তুলতে না পারে সেজন্য নিয়মিত অভিযান চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দারা যে ৩০টি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়েছে, সেগুলোর অবস্থান হচ্ছে- মিরপুরের রূপনগর, পল্লবীর ১৪ নম্বর সেকশন, মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং, বসিলা, কামরাঙ্গীরচর, বাড্ডার সাঁতারকুল রোড ও ডিআইটি হাউজিং, রামপুরার বনশ্রী আবাসিক এলাকা, যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোড, ডেমরার সারুলিয়া, টেংরা, বড় ভাঙ্গারপুল, দক্ষিণখানের সরদারপাড়া, কাওলা, উত্তরখানের মাউসাইদ এবং পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড, লোহারপুল ও বংশাল।

গোয়েন্দারা অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে, জঙ্গিরা বাসাভাড়া নেয়ার ক্ষেত্রে নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকে। নিজেদের শিক্ষার্থী, মোয়াজ্জিন, গাড়িচালক, গার্মেন্টকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে ছোটখাটো চাকরির পরিচয়ে বাসাভাড়া নেয়। অনেকে সস্ত্রীক এসে বাসা ভাড়া নেয়। ফলে বাড়িওয়ালার পক্ষে সন্দেহ করার কোনো কারণই থাকে না। তবে প্রথমে একজন ভাড়া নিলেও পরবর্তীকালে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় অন্যরা উঠে যায়। অনেক ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা প্রথমে যার কাছে ফ্ল্যাট ভাড়া দেন পরে তাকে আর খুঁজে পান না। বিভিন্ন কাজে বাইরে ব্যস্ত আছে- এমন অজুহাত দেখিয়ে বাড়ির মালিককে বিভ্রান্ত করে ওই বাসায় থাকা অন্যরা।

ভাড়া নিয়ে জঙ্গি আস্তানা গড়ে তোলা হয়েছে এমন বাড়ির মালিকরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ভাড়া নিয়ে তারা কখনও ঝামেলা করে না। বাসাভাড়ার ক্ষেত্রে বাড়ির মালিক যে টাকা দাবি করে তা দিয়েই জঙ্গিরা বাসাভাড়া নেয়। তারা বেশ গোপনীয়তা রক্ষা করে চলে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড্ডার সাঁতারকুলে পুলিশ একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায়। ওই অভিযানে জঙ্গি হামলায় আহত হন গোয়েন্দা পুলিশের এক পরিদর্শক। ওই আস্তানা থেকে দুই জঙ্গিকে আটক করা হয়। মূলত তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই একের পর এক আস্তানার সন্ধান মেলে। ওই দুই জঙ্গি গ্রেফতারের একদিন পরই ২০ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুরের ঘনবসতিপূর্ণ নবোদয় হাউজিংয়ের একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গিদের বোমা কারখানার সন্ধান পায় আইনশৃংখলা বাহিনী। ওই ফ্ল্যাট থেকে হ্যান্ড গ্রেনেড, বিপুল পরিমাণ বোমা ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।

একই সূত্র ধরে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে জঙ্গি আস্তানা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বোমা, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল। সেটি ছিল দক্ষিণখানের সরদারপাড়া এলাকার আইডিয়াল স্কুল সংলগ্ন ২৪২ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাট। এটিও একটি জনবহুল এলাকা। তবে সেখান থেকেও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply