বাগেরহাটে পান্তা-ইলিশ খেয়ে ২৫, পঞ্চগড়ে ‘চা’ খেয়ে অসুস্থ ২৬
বাগেরহাটের কচুয়ায় ১লা বৈশাখের পান্তা-ইলিশ খেয়ে থানার ওসি ও শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ২৫ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শমসের আলী, স্থানীয় সংবাদ কর্মী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার লোক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বাংলা নববর্ষ উদযাপনকালে কচুয়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও ভোজনপর্বে অংশ নেন। কচুয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে খাবারের তালিকায় পান্তা-ইলিশ, ডাল ভর্তা ও আলু ভর্তা ছিল। খাবার খেলে অনেকেই বমি করতে থাকেন। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, রাত ১২টা থেকে সকাল এখন পর্যন্ত ফুড পয়জনিংয়ে ২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা সবাই পহেলা বৈশাখে ওই অনুষ্ঠানের খাবার খেয়েছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন- অসুস্থতা আশঙ্কামুক্ত, তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ১লা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পরিবেশন করা উন্নতমানের খাবার খেয়ে ১০৭ বন্দী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই দিন সকালে পান্তা ইলিশ, দুপুরে আলুর দম এবং রাতে ৫২৯ জন বন্দীকে রান্না করা গরুর মাংস-পোলাও পরিবেশন করা হয়। রাতের খাবারের পর বেশকিছু বন্দীর পেটের পীড়া ও ডায়রিয়াসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়।
এদিকে, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় কনে দেখার অনুষ্ঠানে ভুলবশত কীটনাশক দিয়ে তৈরি করা চা খেয়ে ২৬ ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সোনাহার ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ সবাইকে প্রাথমিকভাবে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে কনের দাদা তৈলক্ষ্য রায়ের (৭৫) অবস্থার অবনতি হয়। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জাকিরুল ইসলাম সুইডেন জানান, গতকাল সন্ধ্যায় নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া দলুয়াপাড়া এলাকার আপন রায় কনে দেখতে ১২ জন আত্মীয়সহ বালাপাড়া গ্রামের স্বশোধর রায়ের বাড়িতে যান। আলাপ-আলোচনার মধ্যে উপস্থিত অতিথিদের চা-নাশতা খাওয়ানো হয়। ভুলবশত কীটনাশককে চা পাতা মনে করে তৈরি করা হয় চা। এর কিছুক্ষণ পরই সবারই গলা ও বুক জ্বালাপোড়া শুরু হয়। মুহূর্তেই বর-কনে উভয় পক্ষের ২৬ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।# (এআর)
No comments: