Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » পাখির স্মৃতিশক্তি! মনের কথা বলতে জানে পাখিরাও।। শীতে মৌমাছিরা কোথায় থাকে!






পাখির স্মৃতিশক্তি!
মনের কথা বলতে জানে পাখিরাও।।

শীতে মৌমাছিরা কোথায় থাকে!

প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তীঃ আপনি হয়তোবা কাক, কোকিল এবং গান গাওয়া বিভিন্ন পাখির নাম শুনেছেন । এইসব পাখিগুলো আমাদের আশেপাশেই বসবাস করে। তাই এটা স্বাভাবিক যে, তারা মানুষের মধ্যে তফাৎ করতে পারে। কিন্তু যেসব পাখি জনহীন এলাকায় থাকে, তাদের ধরণটা কেমন হতে পারে?

crowsnotonly

দক্ষিণ কোরিয়ার একদল বিজ্ঞানী এন্টার্টিকায় বসবাসরত ‘ব্রাউন স্কোয়াশ’ এর উপর গবেষণা করেছেন এবং জানি্যেছেন যে, এই পাখিগুলোও মানুষের মতো স্মৃতি ধারণ করতে পারে। যারা অতীতে তাদের বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে তাদের ডিম এবং বাচ্চার ক্ষতি করে।

“আমাকেও ‘স্কোয়াশ’ এর আক্রমন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হয়েছিল”- এমনটাই জানিয়েছেন ইনহা বিশ্ববিদ্যালয় এর পি.এইচ.ডি. অধ্যায়নরত ছাত্র ইয়ন ডিয়াক হান। তিনি আরও জানান, “যখন অন্য গবেষকদের সাথে থাকতাম, তখন পাখিগুলো আমার উপর দিয়ে উড়ে যেত এবং আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করতো। এমনকি আমি আমার কাজের পোশাকও পরিবর্তন করেছিলাম, তখনও তারা আমাকে অনুসরন করতো। আমি যে পোষাকই পড়ি না কেন, তারা আমকে চিনতে পারতো।

গবেষকদল অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন এই বিষয়ের উপর। তারা সপ্তাহে একবার উৎপাদন অবস্থা দেখার জন্য স্কোয়াশের বাসা পরিদর্শন করতেন। তখন স্কোয়াশগুলো একদম কাছাকাছি দূরত্ব থেকে আক্রমন করার চেষ্টা করতো এবং যেসব গবেষকরা বাসা পরিদর্শন করতে জেতেন তারা স্কোয়াশগুলো চিনতে পারে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য একটি মজার পদ্ধতি অবলম্বন করেন। দুজন মানুষ, তার মধ্যে একজন থাকবেন যিনি পাখির বাসায় অনধিকার প্রবেশ করেননি, আর একজন থাকবেন যিনি পাখির বাসায় অনধিকার প্রবেশ করেছেন। তারা স্কোয়াশের বাসার দিকে বিপরীত দিক দিয়ে হেঁটে যাবেন। এতে করে দেখা গেছে, সাতজোড়া স্কোয়াশই যিনি বাসায় হানা দিয়েছিলেন তাকে অনুসরন করে। কিন্তু যিনি বাসায় হানা দেননি তাকে অনুসরন করে না।

ড. লি মন্তব্য করেন, “যেহেতু এন্টার্কটিকায় গবেষণার পূর্বে কোন মানুষই এখানে বসবাস করে নি, আমাদের ধারনা এই যে, খুব অল্প সময় মানুষের সাথে বসবাস করলেই স্কোয়াশরা বৈষম্যমূলক ক্ষমতা অর্জন করে ফেলতে পারতো।

এই তথ্যগুলো ‘Animal Cognition’ জার্নাল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।




শীতে মৌমাছিরা কোথায় থাকে!

নাজিয়া আক্তারঃ বসন্ত এসেছে, ওমনিই আপনার বাগান মৌমাছিতে ছেয়ে গেছে। বিস্ময় নিয়ে ভাবছেন, ‘শীতকালে এরা যায় কই’! গবেষণা ও তথ্য বলছে, যুক্তরাজ্যেরই প্রায় ২৫০ প্রজাতির মৌমাছি শীতের সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে আসে না। শীতের দিনে মৌমাছি দেখতে না পাওয়ার এটা একটা বড় কারণ।

মৌমাছি (এপিস মেলিফেরা) খানিকটা ঘরকুনো প্রজাতি। যারা ৬০,০০০ শ্রমিক একসঙ্গে মিলে বৃহৎ উপনিবেশ গড়ে তোলে। যদিও কৃত্তিমভাবে খামার মালিকদের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে মৌমাছির চাষ ও ব্যবহার হচ্ছে। তারপরও তারা গাছের গহ্বরে বন্য পরিবেশে দল গঠন করতেই বেশি ভালোবাসে।

bee........nice_

শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে মৌমাছি প্রাকৃতিক উপায়ে পরিবেশ থেকেই তাপ সংগ্রহ করে। বছরের বেশিরভাগ সময় মৌপোকারা এভাবেই ঠিকে থাকে। তবে শীতের সময়ে তারা নিয়ম বদলায়। এসময় মৌমাছির দলগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করে। দলবব্ধ থেকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। শীতের দিনে মৌমাছির ফ্লাইট পেশী প্রয়োজনীয় তাপ উৎপন্ন করে শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখে।

গ্রীষ্মের সময় প্রতিটি কর্মী মৌমাছি ১-২ মাস বাঁচে। যেসব মৌমাছি ডিম দেয়, তাদের আয়ু বেশি, প্রায় ৬ মাস। ব্যতিক্রম শুধু শীতকাল, এ সময় মৌমাছিরা দলবদ্ধ হয়ে বঁচার চেষ্টা করে বলে বাচ্চা উৎপাদন করে না।

তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে থাকলে মৌমাছিরা চাকে থাকে। তখন এরা শুধু উষ্ণ দিনে বের হয়। বর্জ্য নিষ্কাশন ও খাবার সংগ্রহ করে আবার চাকে ফেরে। তাতে আবাসস্থল পরিচ্ছন্ন থাকে।

শীতে মৌমাছির সংখ্যা অনেক কম থাকে। এ সময় আগে থেকে সঞ্চয় করে রাখা মধু ব্যবহার করেই এরা বেঁচে থাকে। সঞ্চিত খাবারের অভাব হলে মৌমাছিরা মরেও যেতে পারে। এরা শীতকালে চাকের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে থাকে। মধু সঞ্চয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠে আসে।

মৌমাছি ছোট হলেও যুক্তরাজ্যের (বছরে 400 মিলিয়নেরও বেশি) অর্থনীতিতে এরা বিরাট অবদান রাখছে। যুক্তরায্যে আপেল, মটরশুটিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফসলের ফলন মৌমাছির উপর নির্ভরশীল। কৃষির জন্য মৌমাছি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। গবেষণা ও তথ্য বলছে, ফসল ফলানোর জন্য বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছি আছে। পাশাপাশি মৌমাছির জীবনাচারণ ও আবাস অনেক বৈচিত্র্যময়!

পার্ক-বাগানের মত শহুরে আবাসস্থলেও ইদানিং প্রচুর মৌমাছির দেখা মেলে। সেই সঙ্গে হারাচ্ছে, তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল। কৃষিবন্ধু মৌমাছির বিচরণ ধরে রাখতে হলে ফুলের উৎপাদন বাড়াতে হবে।





মনের কথা বলতে জানে পাখিরাও

GreatTit002মনের ভাব প্রকাশের অপরিহার্য মাধ্যম হচ্ছে ভাষা। ভাষা আছে অন্যান্য সকল প্রাণীর যেমন আছে মানুষের। এতদিন ধারনা করা হত, মানুষ অনন্য কারন প্রাণীকুলে একমাত্র মানুষই পরিপূর্ণ বাক্য গঠন করতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন দাবি করছে যে শুধু মানুষই না, পাখিরাও পরিপূর্ণ বাক্য গঠন করতে সক্ষম।

নেচার কমিউনিকেশনস-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাপানি টিট প্রজাতির পাখিরা যোগাযোগের জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম অনুসরণ করে। গবেষকরা জানিয়েছেন, শব্দবিন্যাস যোগাযোগের ক্ষেত্রে আচরণগত জটিলতা তৈরি করে। ভাষার মূল ভিত্তি হলো কিছু শব্দের মিলনে পরিপূর্ণ বাক্য তৈরি করা।

গবেষণায় আগেই প্রমানিত হয়েছে, পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীরা তাদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য কিছু অনর্থক শব্দ তৈরি করে। কিন্তু পরিপূর্ণ শব্দবিন্যাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করা জটিল প্রক্রিয়া, যা মানুষের জন্য সহজ। জাপান, জার্মানি এবং সুইডেনের গবেষকরা জোরালোভাবে দাবি করেছেন, টিট পাখিদের বিচিত্র কন্ঠের আওয়াজে রয়েছে শব্দ বিন্যাস।

আপসালা ইউনিভার্সিটি-এর ড. ডেভিড হুইটক্রফট জানান, এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, শব্দবিন্যাস ক্ষমতা শুধু মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান নয়, পাখিরাও শব্দ বিন্যাস করতে পারে।

যোগাযোগ সম্পন্ন করতে জাপানি টিট পাখি বিভিন্ন রকম ডাক দেয়। ছোট প্রজাতির টিট পাখিরা যখন বিপদ বুঝতে পারে বা শিকারির উপস্থিতি বুঝতে পারলে তারা বিভিন্ন রকম ডাক দেয়। এই ডাকগুলো কোনোটি একটি অর্থ আবার কোনটি কয়েকটি শব্দের সমন্বয়ে হয়ে থাকে।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর জানিয়েছে, প্লে-ব্যাক পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে কোনো ‘বিপদ উপলব্ধি করতে পারলে’ তারা ‘এবিসি’ ব্যবহার করে। আবার কোনো খাদ্যের সন্ধান পেলে বা সঙ্গীকে ডাকতে তারা ‘ডি’ ব্যবহার করে। কোনো শিকারির উপস্থিতি বোঝাতে এ দুটির সমন্বয় করে ‘এবিসি-ডি’ শব্দবিন্যাসে ডাক দেয়। এই বিন্যাসে ডেকে তারা অন্য সঙ্গীদের সতর্ক করে দেয়। কিন্তু কৃত্রিমভাবে এই শব্দ বিন্যাসকে উল্টিয়ে দিলে তারা এর কোনো জবাব দেয় না।

টিট পাখির এই শব্দবিন্যাসের ক্ষমতা জানতে পারলে মানবজাতির বিবর্তন সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন হুইটক্রফট।




পাখির স্মৃতিশক্তি!
মনের কথা বলতে জানে পাখিরাও।।

শীতে মৌমাছিরা কোথায় থাকে!

প্রিয়াঙ্কা চক্রবর্তীঃ আপনি হয়তোবা কাক, কোকিল এবং গান গাওয়া বিভিন্ন পাখির নাম শুনেছেন । এইসব পাখিগুলো আমাদের আশেপাশেই বসবাস করে। তাই এটা স্বাভাবিক যে, তারা মানুষের মধ্যে তফাৎ করতে পারে। কিন্তু যেসব পাখি জনহীন এলাকায় থাকে, তাদের ধরণটা কেমন হতে পারে?

crowsnotonly

দক্ষিণ কোরিয়ার একদল বিজ্ঞানী এন্টার্টিকায় বসবাসরত ‘ব্রাউন স্কোয়াশ’ এর উপর গবেষণা করেছেন এবং জানি্যেছেন যে, এই পাখিগুলোও মানুষের মতো স্মৃতি ধারণ করতে পারে। যারা অতীতে তাদের বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে তাদের ডিম এবং বাচ্চার ক্ষতি করে।

“আমাকেও ‘স্কোয়াশ’ এর আক্রমন থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হয়েছিল”- এমনটাই জানিয়েছেন ইনহা বিশ্ববিদ্যালয় এর পি.এইচ.ডি. অধ্যায়নরত ছাত্র ইয়ন ডিয়াক হান। তিনি আরও জানান, “যখন অন্য গবেষকদের সাথে থাকতাম, তখন পাখিগুলো আমার উপর দিয়ে উড়ে যেত এবং আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করতো। এমনকি আমি আমার কাজের পোশাকও পরিবর্তন করেছিলাম, তখনও তারা আমাকে অনুসরন করতো। আমি যে পোষাকই পড়ি না কেন, তারা আমকে চিনতে পারতো।

গবেষকদল অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন এই বিষয়ের উপর। তারা সপ্তাহে একবার উৎপাদন অবস্থা দেখার জন্য স্কোয়াশের বাসা পরিদর্শন করতেন। তখন স্কোয়াশগুলো একদম কাছাকাছি দূরত্ব থেকে আক্রমন করার চেষ্টা করতো এবং যেসব গবেষকরা বাসা পরিদর্শন করতে জেতেন তারা স্কোয়াশগুলো চিনতে পারে কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য একটি মজার পদ্ধতি অবলম্বন করেন। দুজন মানুষ, তার মধ্যে একজন থাকবেন যিনি পাখির বাসায় অনধিকার প্রবেশ করেননি, আর একজন থাকবেন যিনি পাখির বাসায় অনধিকার প্রবেশ করেছেন। তারা স্কোয়াশের বাসার দিকে বিপরীত দিক দিয়ে হেঁটে যাবেন। এতে করে দেখা গেছে, সাতজোড়া স্কোয়াশই যিনি বাসায় হানা দিয়েছিলেন তাকে অনুসরন করে। কিন্তু যিনি বাসায় হানা দেননি তাকে অনুসরন করে না।

ড. লি মন্তব্য করেন, “যেহেতু এন্টার্কটিকায় গবেষণার পূর্বে কোন মানুষই এখানে বসবাস করে নি, আমাদের ধারনা এই যে, খুব অল্প সময় মানুষের সাথে বসবাস করলেই স্কোয়াশরা বৈষম্যমূলক ক্ষমতা অর্জন করে ফেলতে পারতো।

এই তথ্যগুলো ‘Animal Cognition’ জার্নাল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।




শীতে মৌমাছিরা কোথায় থাকে!

নাজিয়া আক্তারঃ বসন্ত এসেছে, ওমনিই আপনার বাগান মৌমাছিতে ছেয়ে গেছে। বিস্ময় নিয়ে ভাবছেন, ‘শীতকালে এরা যায় কই’! গবেষণা ও তথ্য বলছে, যুক্তরাজ্যেরই প্রায় ২৫০ প্রজাতির মৌমাছি শীতের সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে আসে না। শীতের দিনে মৌমাছি দেখতে না পাওয়ার এটা একটা বড় কারণ।

মৌমাছি (এপিস মেলিফেরা) খানিকটা ঘরকুনো প্রজাতি। যারা ৬০,০০০ শ্রমিক একসঙ্গে মিলে বৃহৎ উপনিবেশ গড়ে তোলে। যদিও কৃত্তিমভাবে খামার মালিকদের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে মৌমাছির চাষ ও ব্যবহার হচ্ছে। তারপরও তারা গাছের গহ্বরে বন্য পরিবেশে দল গঠন করতেই বেশি ভালোবাসে।

bee........nice_

শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে মৌমাছি প্রাকৃতিক উপায়ে পরিবেশ থেকেই তাপ সংগ্রহ করে। বছরের বেশিরভাগ সময় মৌপোকারা এভাবেই ঠিকে থাকে। তবে শীতের সময়ে তারা নিয়ম বদলায়। এসময় মৌমাছির দলগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করে। দলবব্ধ থেকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। শীতের দিনে মৌমাছির ফ্লাইট পেশী প্রয়োজনীয় তাপ উৎপন্ন করে শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখে।

গ্রীষ্মের সময় প্রতিটি কর্মী মৌমাছি ১-২ মাস বাঁচে। যেসব মৌমাছি ডিম দেয়, তাদের আয়ু বেশি, প্রায় ৬ মাস। ব্যতিক্রম শুধু শীতকাল, এ সময় মৌমাছিরা দলবদ্ধ হয়ে বঁচার চেষ্টা করে বলে বাচ্চা উৎপাদন করে না।

তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে থাকলে মৌমাছিরা চাকে থাকে। তখন এরা শুধু উষ্ণ দিনে বের হয়। বর্জ্য নিষ্কাশন ও খাবার সংগ্রহ করে আবার চাকে ফেরে। তাতে আবাসস্থল পরিচ্ছন্ন থাকে।

শীতে মৌমাছির সংখ্যা অনেক কম থাকে। এ সময় আগে থেকে সঞ্চয় করে রাখা মধু ব্যবহার করেই এরা বেঁচে থাকে। সঞ্চিত খাবারের অভাব হলে মৌমাছিরা মরেও যেতে পারে। এরা শীতকালে চাকের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে থাকে। মধু সঞ্চয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠে আসে।

মৌমাছি ছোট হলেও যুক্তরাজ্যের (বছরে 400 মিলিয়নেরও বেশি) অর্থনীতিতে এরা বিরাট অবদান রাখছে। যুক্তরায্যে আপেল, মটরশুটিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফসলের ফলন মৌমাছির উপর নির্ভরশীল। কৃষির জন্য মৌমাছি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। গবেষণা ও তথ্য বলছে, ফসল ফলানোর জন্য বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছি আছে। পাশাপাশি মৌমাছির জীবনাচারণ ও আবাস অনেক বৈচিত্র্যময়!

পার্ক-বাগানের মত শহুরে আবাসস্থলেও ইদানিং প্রচুর মৌমাছির দেখা মেলে। সেই সঙ্গে হারাচ্ছে, তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল। কৃষিবন্ধু মৌমাছির বিচরণ ধরে রাখতে হলে ফুলের উৎপাদন বাড়াতে হবে।





মনের কথা বলতে জানে পাখিরাও

GreatTit002মনের ভাব প্রকাশের অপরিহার্য মাধ্যম হচ্ছে ভাষা। ভাষা আছে অন্যান্য সকল প্রাণীর যেমন আছে মানুষের। এতদিন ধারনা করা হত, মানুষ অনন্য কারন প্রাণীকুলে একমাত্র মানুষই পরিপূর্ণ বাক্য গঠন করতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখন দাবি করছে যে শুধু মানুষই না, পাখিরাও পরিপূর্ণ বাক্য গঠন করতে সক্ষম।

নেচার কমিউনিকেশনস-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাপানি টিট প্রজাতির পাখিরা যোগাযোগের জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম অনুসরণ করে। গবেষকরা জানিয়েছেন, শব্দবিন্যাস যোগাযোগের ক্ষেত্রে আচরণগত জটিলতা তৈরি করে। ভাষার মূল ভিত্তি হলো কিছু শব্দের মিলনে পরিপূর্ণ বাক্য তৈরি করা।

গবেষণায় আগেই প্রমানিত হয়েছে, পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীরা তাদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য কিছু অনর্থক শব্দ তৈরি করে। কিন্তু পরিপূর্ণ শব্দবিন্যাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করা জটিল প্রক্রিয়া, যা মানুষের জন্য সহজ। জাপান, জার্মানি এবং সুইডেনের গবেষকরা জোরালোভাবে দাবি করেছেন, টিট পাখিদের বিচিত্র কন্ঠের আওয়াজে রয়েছে শব্দ বিন্যাস।

আপসালা ইউনিভার্সিটি-এর ড. ডেভিড হুইটক্রফট জানান, এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, শব্দবিন্যাস ক্ষমতা শুধু মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান নয়, পাখিরাও শব্দ বিন্যাস করতে পারে।

যোগাযোগ সম্পন্ন করতে জাপানি টিট পাখি বিভিন্ন রকম ডাক দেয়। ছোট প্রজাতির টিট পাখিরা যখন বিপদ বুঝতে পারে বা শিকারির উপস্থিতি বুঝতে পারলে তারা বিভিন্ন রকম ডাক দেয়। এই ডাকগুলো কোনোটি একটি অর্থ আবার কোনটি কয়েকটি শব্দের সমন্বয়ে হয়ে থাকে।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর জানিয়েছে, প্লে-ব্যাক পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে কোনো ‘বিপদ উপলব্ধি করতে পারলে’ তারা ‘এবিসি’ ব্যবহার করে। আবার কোনো খাদ্যের সন্ধান পেলে বা সঙ্গীকে ডাকতে তারা ‘ডি’ ব্যবহার করে। কোনো শিকারির উপস্থিতি বোঝাতে এ দুটির সমন্বয় করে ‘এবিসি-ডি’ শব্দবিন্যাসে ডাক দেয়। এই বিন্যাসে ডেকে তারা অন্য সঙ্গীদের সতর্ক করে দেয়। কিন্তু কৃত্রিমভাবে এই শব্দ বিন্যাসকে উল্টিয়ে দিলে তারা এর কোনো জবাব দেয় না।

টিট পাখির এই শব্দবিন্যাসের ক্ষমতা জানতে পারলে মানবজাতির বিবর্তন সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন হুইটক্রফট।








«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply