মসুলে আইএসআইএল ৩টি প্রধান ঘাঁটি ধ্বংস করল ইরাকি বাহিনী।। গোলান ফেরত নিতে প্রয়োজনে ইসরাইলে হামলা চালাব: সিরিয়া।
মসুলে আইএসআইএল ৩টি প্রধান ঘাঁটি ধ্বংস করল ইরাকি বাহিনী।।
গোলান ফেরত নিতে প্রয়োজনে ইসরাইলে হামলা চালাব: সিরিয়া।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশের তিনটি প্রধান ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে দেশটির বিমান বাহিনী। হামলায় এক ডজনের বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ইরাকের এফ-১৬ জঙ্গিবিমান দিয়ে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয় এবং ঘাঁটিগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
মসুলের তাল-কাইফ এলাকায় এসব ঘাঁটির অবস্থান ছিল। ইরাকের আরবি ভাষার আস-সুমেরিয়া ওয়েবসাইট রোববার এ খবর দিয়েছে। আস-সুমেরিয়া বলেছে, দায়েশের অন্যতম অর্থনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা কাসিম আল-ফারাহাতসহ ১৭ জন সন্ত্রাসী বিমান হামলায় নিহত হয়।
গত কিছুদিন আগে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য ইরাকের সামরিক বাহিনী দায়েশ-বিরোধী অভিযান শুরু করেছে। ২০১৪ সাল থেকে শহরটি দায়েশ সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এটি ইরাকে তৎপর সন্ত্রাসীদের অত্যন্ত শক্ত ঘাঁটি বলে বিবেচিত।#
গোলান ফেরত নিতে প্রয়োজনে ইসরাইলে হামলা চালাব: সিরিয়া
অধিকৃত গোলান মালভূমি ফেরত পাওয়ার জন্য সিরিয়ার সামনে যেকোনো ব্যবস্থা নেয়ার পথ খোলা রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানো হবে। এসব কথা বলেছেন, সিরিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদ।
“গোলান মালভূমি চিরদিন তেল আবিবের হাতে থাকবে” বলে ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মন্তব্য করার পর গতকাল (রোববার) সিরিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘোষণা দিয়েছেন। রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু দাবি করেন, সিরিয়ার গোলান মালভূমিকে ইসরাইলের অংশ বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি দেয়া উচিত। অধিকৃত গোলান এলাকায় ইসরাইলের মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়।
ফয়সাল মিকদাদ জোর দিয়ে বলেন, “আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অধিকৃত গোলান মালভূমি সিরিয়ার অংশ এবং ইসরাইলের কাছ থেকে তা ফেরত নেয়া হবে। এ বিষয়ে সিরিয়ার সামনে সব ধরনের পথ খোলা রয়েছে। এজন্য আমরা প্রস্তুতও রয়েছি।” লেবাননের টেলিভিশন চ্যানেল আল-মায়েদিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মিকদাদ।
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় ইহুদিবাদীরা গোলান মালভূমি দখল করে নেয় তবে আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সমাজের স্বীকৃতি পায় নি।#
No comments: