ষ্টাফ রিপোটার//
মেহেরপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে ভারতের দখলে আড়াই হাজার বিঘা জমি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেই
সীমান্ত পর্যবেক্ষন করে ও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সীমান্ত রেখা বরাবর খাল ,বিল, হাওড়-বাঁওর ও নদ-নদীর ভাঙ্গনে বহু জমি ভারতের দখলে চলে গেছে। সীমান্ত চিহ্নিতকরণ পিলারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণেরও ব্যবস্থা নেই। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরার সীমান্তঘেষা প্রায় আড়াই হাজার জমি দীর্ঘদিন ভোগদখল করছে ভারত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মেহেরপুরের ইছাখালী, ষোলমারী, রুদ্রনগর, গাংনী থানার কাথুলি, তেতুলবাড়িয়া , কাজীপুর, বিলধলা, চুয়াডাঙ্গার বেনীপুর, দামুড়হুদার বাড়াদি, সুলতানপুর, নান্তিপুর, ঠাকুরপুকুর, সাতক্ষীরার বাঁশঝাড়িয়া চর, বৈকারি খাল, ইছামতি নদীর একাংশ, কুষ্টিয়ার বাকুরিয়া সীমান্তের টুকরো টুকরো জমি । চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার বাড়াদি সীমান্তের মেইন পিলার নম্বার ৮০ থেকে ৮২ নম্বার পর্যন্ত কয়েকশ” বিঘা জমি একরকম জবরদখল নিয়েছে ভারতীয়রা। কুষ্টিয়া মেঘনা সীমান্তের ১৪২-২ নম্বর পিলার থেকে ১৫১ নম্বর পিলার পযর্ন্ত প্রায় ১২শ” বিঘা ,বেনীপুর সীমান্তের প্রায় ১শ”বিঘা এমনিভাবে খন্ড খন্ড সীমান্ত লাগোয়া জমি দখল করে ভারতীয়রা চাষাবাদ করছে দীর্ঘদিন। যা নিয়ে প্রায়ই সীমান্তবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ভারতীয়রা বাংলাদেশীদের ছাগল, গরু ও মাঠ থেকে চাষিদের ধরে নিয়ে যায়। ফসল বিনষ্ট করে দেয়। ইতি মধ্যে বিএসএফ বিনা উস্কানিতে সীমান্তের মাঠে গুলি চালিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশী চাষীকে হত্যা করেছে। তবে বিএসএফ-এর জঙ্গী মনোভাবের কারনে কোন কোন জমি স্থানীয়ভাবে নিস্পত্তি হওয়ার ব্যবস্থা হলেও পরক্ষণেই তা ‘অমীমাংসিত’ ব্রাকেট বন্দী পড়ে।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানার বেনীপুর সীমান্তের ওপারে ভারতের নোনাগঞ্জ। নোনাগঞ্জে একটি কাঁটাতারের বেড়ার বড় গেট আছে। গেটের এপারে দেড়শ”গজ অভ্যন্তরে সীমান্ত পিলার নম্বার ৬১ মেইন ও ৬১এর ৩ নম্বার সাব পিলার থেকে ৯ নম্বার সাব পিলারের প্রায় ৯৫ বিঘা জমি বাংলাদেশের রেকর্ডে আছে অথচ দীর্ঘদিন ভারতীয়রা চাষাবাদ করে খাচ্ছে। বহু বাদ-প্রতিবাদ করেছে স্থানীয় সীমান্তবাসী। কিন্ত টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের।
সীমান্ত বৈঠকে সীমান্ত চিহ্নিতকরণের কথা বলা হয় চুপিসারে-ভারতীয়দের অবৈধ দখল স্বত্বের কথা উঠলে ‘দেখা যাবে’ বলে আশ্বাস বাণী শুনিয়ে থাকে ভারতীয় কতৃপক্ষ। এক-দু-বিঘা নয়, আড়াই হাজার বিঘার বিশাল সম্পত্তি ভারতীয়রা দখল করে খাবে আর আমরা নিশ্চুপ থাকবো কেন? এমন নানা প্রতিবাদের কথা শোনা যায় সীমান্ত এলাকায় গেলে । কিন্ত তাদের কথা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কান পর্যন্ত পৌঁছে না। যার জন্য ‘অমীমাংসিত’ বিষয় গুলো অমীমাংসিতই থেকে যাচ্ছে। আদৌ ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের দখল করে নেয়া জমি ফেরত দেবে কিনা এই নিয়ে যথেষ্ট সংশয়- সন্দেহ রয়েছে । কারণ এ ব্যাপারে কোন উচ্ছবাক্য নেই

No comments: