দেশের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গলবার বৃষ্টি ওবজ্র পাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের মধুপুরে একই পরিবারের তিনজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লায় ছয়জন, কিশোরগঞ্জে দুইজন এবং রংপুরের বদরগঞ্জে একজন ও পীরগাছায় একজন প্রাণ হারান।
বজ্রপাতে মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের মধুপুরে একই পরিবারের তিনজন, সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লায় ছয়জন এবং কিশোরগঞ্জে দুইজন নিহত হয়েছেন।
মধুপুর , মঙ্গলবার ভোরে মধুপুর উপজেলার বেড়িবাঁধ ইউনিয়নের মাগন্তিনগর পচারচনা গ্রামে বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- নিখিল হাজং (৪৫) এবং তার ছেলে জর্জ সিমসাং (১০) ও লোটন সিমসাং (৮)। এসময় নিখিলের স্ত্রী জনতা সিমসাং (৪০) আহত হন।
জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক জানান, ভোরে বৃষ্টির সময় নিখিলের বসত ঘরের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিখিল ও তার দুই ছেলের।
সুনামগঞ্জে দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় ছয়জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
দিরাই উপজেলায় নিহতরা হলেন- মাটিয়াপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে শামীম মিয়া ও একই গ্রামের আবদুল হাসিমের ছেলে তহুর মিয়া ও টুকদিরাই গ্রামের আজিদ উল্লাহর ছেলে শেমরান হোসেন। শাল্লা উপজেলায় নিহতরা হলেন- শ্রীহাইন গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে খাইনুল মিয়া, আকিকুল ইসলামের ছেলে ঈমান মিয়া ও আব্দুস সালামের ছেলে হৃদয় মিয়া।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে বলে জানান দিরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন ও শাল্লা থানার ওসি বজলার রহমান।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বজ্রপাতে করিমগঞ্জ উপজেলায় ছেলেসহ মা মারা গেছেন। আহত হয়েছেন মেয়ে।
করিমগঞ্জ থানার ওসি জাকির রাব্বানী জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গুজাদিয়া ইউনিয়নের করমসী গ্রামের কৃষক মারুফ মিয়ার বাড়িতে বজ্রপাত হয়।
নিহতরা হলেন মারুফ মিয়ার স্ত্রী ললিতা (৪০) ও তাদের ছেলে রিমন (১৫)। বজ্রপাতে তাদের মেয়ে বিউটি (২০) গুরুতর আহত হন। তাকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
No comments: