Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » জল্পনা-কল্পনা এখন তুঙ্গে পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ১ নম্বর মহিলা ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৭ জন প্রার্থী।





  সুমন/রিপন/খোকন//
 জল্পনা-কল্পনা  এখন তুঙ্গে পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ১ নম্বর  মহিলা ওয়ার্ডের  সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৭ জন প্রার্থী।
 
 আগামী ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে।



 পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে   সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৭ জন প্রার্থী।
১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কোর্ট পাড়া, উপজেলা পরিষদ পাড়া, মিশন পাড়া, ঘোষ পাড়া, শহীদ গফুর সড়ক, হোটেল বাজার পাড়ার পশ্চিম অংশ, পুরাতন পোষ্ট অফিস পাড়া, বোস পাড়ার দক্ষিণ অংশ। ২ নম্বর ওয়ার্ডের থানাপাড়া, মুখার্জিপাড়া, বোস পাড়ার উত্তর অংশ, শাহাজী পাড়া, বড়বাজার পাড়া, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পাড়া, হালদার পাড়া ও মেথর পাড়া ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতিপাড়া, থানা পাড়া, থানা রোড, ডাঙাপাড়া, মুর্খাজি পাড়া, বেড় পাড়া ও শাহাজীপাড়ার একাংশের ১০ হাজার ৪শ ৩৮ জন ভোটার নিয়ে গঠিত ১ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড।


আলপনা খাতুন (জবা ফুল)

 মেহেরপুর পৌরসভা    শহরের পিয়াদা পাড়ার মিয়ারুল ইসলামের স্ত্রী আলপনা খাতুন এবার জবা ফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। গত নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে মনোয়ারা খাতুনের কাছে পরাজিত হন। ৮ম শ্রেণী পাশ করা ২ সন্তানের জননী আলপনা খাতুন এবারের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি এলাকার ডাষ্টবিন, ড্রেনেজ ব্যাবস্থা জোরদার করে ওয়ার্ডকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গঠন করবে বলে জানান। এসময় তিনি বর্তমান কাউন্সিলর মনোয়ারা খাতুনের বিরেুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, গত নির্বাচনে তিনি মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জনগনরে কাছে ভোট নিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচিত হয়ে একটি বারের জন্যও তিনি এলাকা মুখি হননি।

আনজুরা খাতুন (অটোরিকসা)

  মেহেরপুর পৌরসভা শহরের তাঁতি পাড়ার ফয়েজ আলীর স্ত্রী ও ২ সন্তানের জননী আনজুরা খাতুন অটোরিকসা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি সাধারণ গৃহবধু হলেও সাধারণ ভোটারদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নির্বাচনী বৈরিতা পার করতে চান। তিনি মনে করেন আলপনার সাথে তার ভোট যুদ্ধ হবে। তবে তিনি জয়ের ব্যাপাওে আশাবাদি।

মনোয়ারা খাতুন (আনারস)

  মেহেরপুর পৌরসভা শহরের ডাঙাপাড়ার হাবু মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন গত নির্বাচনে প্রথম বারের মত অংশ গ্রহন করে রেহেনা খাতুনকে অল্প ভোটে পরাজিত করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে ভোটার কাছে যাচ্ছেন। অন্য প্রার্থীদের সকল অভিযোগ স্বীকার করে তিনি বলেন, মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান তিনি দিতে পারেনি। তার জন্য দায়ি পৌর পরিষদ। তিনি বলেন, মোট কাজের ৩০ ভাগ কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও তা দৌয হয়না। তাই তিনি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সব বাস্তবায়ন করতে পারেননি বলে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে আরেকবার ভোট চেয়েছেন।

নুরুন নাহার (দ্বিতল বাস)

 মেহেরপুর পৌরসভা শহরের থানা পাড়ার মহি উদ্দিনের স্ত্রী নুরুন নাহার। দ্বিতল বাস প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ২ সন্তানের জননী নুরুন নাহার টিউশনী করে জীবিকা নির্বাহর পাশাপাশি সমাজসেবাই নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। আলপনার সাধে তার প্রতিন্দীতা হবে বলে তিনি জানিয়ে নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন।


দিল আফরোজ জেসনা (বলপেন)

 মেহেরপুর পৌরসভা  শহরের মুখার্জী পাড়ার এসএম নিজাম উদ্দীনের স্ত্রী দিল আফরোজ জোসনা বলপেন প্রতীক নিয়ে এবার প্রথম বারের মত নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি বলে জানান। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনে সহযোগিতা করা, অসহায় মানুষের সেবা করা ছাড়াও নারীদের অধিকার আদায়ে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে আলপনার সাথে তার ভোট যুদ্ধ হতে পারে বলে তিনি জানান।

নারগিস সুলতানা (চশমা)

  মেহেরপুর পৌরসভা শহরের নতুন পাড়ার মৃত আলী হোসেনের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী নার্গিস সুলতানা স্বামীর অবর্তমানে জীবন জীবিকার তাগিদে ছোট্ট একটা ব্যবসা করেন। এবারের নির্বাচনে তিনি প্রথম বারের মত চসমা প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি হয়ে বলেন, বিগত দিনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তার উন্নয়ন করতে ব্যার্থ হয়েছেন বলে তিনি নির্বাচিত হলে মানুষের চাওয়া পাওয়াকে পাধান্য দিয়ে উন্নয়নের কাজ করবেন বলে জানান।
 সফুরা খাতুন (টেলিফোন)

 মেহেরপুর পৌরসভা  শহরের বড় বাজার এলাকার ইমান শেখের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী ছপুরা খাতুন মহিলা আওয়ামীলীগের তুখোড় নেত্রী হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছেন। সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠানিক সম্পাদিকা হিসেবে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারের নির্বাচনে তিনি টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ভোটারদের দারে দারে ঘুরছেন। তিনি বর্তমান কাউন্সির মনোয়ার খাতুনের দিকে অভিযোগ তুলে বলেন, তিনি বিগত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একটি বারের জন্যও সাধারণ মানুষের খোজ নেননি। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি এলাকার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিবেন। তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post