বিডিআর বিদ্রোহ মামলা
খালাস পাওয়া আ.লীগ নেতা তোরাব মারা গেছেন
তোরাব আলী
তোরাব আলী
বিডিআর বিদ্রোহ মামলা থেকে সম্প্রতি খালাস পাওয়া তোরাব আলী (৮০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোর ছয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তাঁর মৃত্যু হয়।
বিডিআর (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) বিদ্রোহ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন তোরাব আলী। তবে গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে তিনি খালাস পান। তবে খালাস পেলেও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি তিনি। গত বুধবার অসুস্থ অবস্থায় কারাগার থেকে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়।
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪জনকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বহুল আলোচিত এ মামলায় বিডিআর জওয়ানদের পাশাপাশি অভিযুক্ত হন ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তোরাব আলী। বিডিআর থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিদ্রোহীদের সমর্থনে মিছিল ও সহযোগিতার অভিযোগ করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এ মামলায় রাজনীতিবিদদের মধ্যে ২০০৯ সালে তোরাব আলী ও বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালত দুজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
কারারক্ষী মো. হানিফ আজ জানান, আদালতের রায়ে তোরাব আলীর খালাস পাওয়ার অর্ডার কারাগারে এসে পৌঁছায়নি। অসুস্থ হয়ে পড়লে তোরাব আলীকে গত বুধবার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তিনি হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। আজ ভোর ছয়টায় তিনি মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. বাবুল মিয়া জানান, তোরাব আলীর লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আপিল রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের সাজা বহাল রাখা হয়। ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুই শ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। সাজা থেকে খালাস পান ৪৯ জন। এর মধ্যে তোরাব আলীও ছিলেন
No comments: