জেনে নিন, ডিজিটাল প্রশ্নব্যাংক পদ্ধতি কী?
পাবলিক পরীক্ষায় লাগাতার প্রশ্নপত্র ফাঁস, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রশ্ন বিদ্ধই করেনি বরং হুমকির মুখে ফেলেছে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বসে, তা নয়। কিন্তু প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপই কাজে আসছে না প্রশ্ন ফাঁস রোধে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন ফাঁসের পেছনের বিভিন্ন কারণ শনাক্ত করার পর ফাঁস ঠেকাতে বিকল্প উপায় খুঁজছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এমসিকিউ পদ্ধতি বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ, প্রশ্নব্যাংক প্রণয়ন, ডিজিটাল ডিভাইসে পরীক্ষা নেয়াসহ নানা ভাবনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের।
সম্প্রতি এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাও টিক মার্ক (এমসিকিউ) তুলে দেবার পক্ষে মত দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই মতকে নির্দেশ হিসেবেই মানছেন বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সামনের বছর থেকে নতুন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা। এখন প্রশ্ন কোনো পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা? সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে প্রশ্নব্যাংক প্রণয়ন করে ডিজিটাল যন্ত্রের মধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন জানান, 'অনলাইন প্রশ্নব্যাংকের মাধ্যমে আগামীতে পরীক্ষা নেয়া হবে। এ বিষয়ে সভায় সবাই একমত হয়েছেন।'
কেমন হবে ডিজিটাল 'প্রশ্নব্যাংক' পদ্ধতি?
পর্যায়ক্রমিক ধাপ অনুসারে: এই পদ্ধতির মাধ্যমে যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষার দিন সকালে অটোমেটিক প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র (ডিভাইস) ব্যবহার করে র্যানডম সিলেকশনের মাধ্যমে পরীক্ষার দিন সকালে চূড়ান্ত প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে। এরপর পরীক্ষা শুরুর আধাঘণ্টা আগে সকাল সাড়ে ৯টার আগে ওই ডিভাইস ব্যবহার করে কেন্দ্র সচিবদের প্রশ্ন জানিয়ে দেয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশ্ন সেট ও পাসওয়ার্ড জানিয়ে দেয়া হবে। পরীক্ষা হলে কেন্দ্র সচিবদের একটি করে ডিজিটাল ডিভাইস দেয়া হবে। সকাল সাড়ে ৯ টার পর তাতে পাসওয়ার্ড প্রবেশ করানো হলে প্রশ্নপত্র ভেসে উঠবে। তা দেখেই পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষকরা বোর্ডে প্রশ্ন লিখে দেবেন
No comments: