Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মেহেরপুরে পল্লী চিকিৎসকের অপারেশনে তরুণের মৃত্যু, থানায় হত্যা মামলা দায়ের




কৌশিক আহমেদ শিমুল/ মেহেরপুরে পল্লী চিকিৎসকের অপারেশনে তরুণের মৃত্যু, থানায় হত্যা মামলা দায়ের মেহেরপুরে ফকরুজ্জামান নামের এক পল্লী চিকিৎসকের অপারেশন টেবিলে প্রাণ গেল সাইদুর রহমান (১৮) নামের এক তরুণের। মেহেরপুর সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত সাইদুর রহমান গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের কৃষক সানোয়ার হোসেনের ছেলে। এঘটনার পর থেকে পল্লী চিকিৎসক ফকরুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় পল্লী চিকিৎসক ফকরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নম্বর-১৬। নিহত সাইদুল ইসলামের পিতা সানোয়ার হোসেন জানান, তাঁর ছেলে সাইদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে নাকের পলিপাস রোগে ভুগছিল। পাশের গ্রাম আলমপুরে পল্লী চিকিৎসক ফকরুজ্জামান তার ছেলে পলিপাসের অপারেশন করে ভাল করে দিবেন বলে তিন হাজার পাঁচশ টাকা চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী ঘটনার দিন সকালে চুক্তির তিন হাজার পাঁচশ টাকা পরিশোধ করেন । এসময় ছেলের অপারেশনের জন্য ফকরুজ্জামান আমাদের বাইরে বসতে বলে ছেলেকে অপারেশন করার জন্য একটি রুমে ঢোকান। অনেকক্ষন ধরে বাইরে বের না হলে আমরা ডাকাডাকি শুরু করি।একসময় ছেলে চিৎকার দিয়ে উঠে। তারপরপরই ফকরুজ্জামান আমাদের বলে ছেলে রক্ত কম আছে হাসপাতালে নিতে হবে। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার বলে ছেলে বেঁচে নেই। এসময় ফকরুজ্জামান নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য একই হাসপাতালের বিভিন্ন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফকরুজ্জামান বলেন, আমি অপারেশন করি নি। গাংনী থেকে রিপন নামের এক ডাক্তার এই অপারেশ করেছেন। সে কি এমবিবিএস চিকিৎসক এমন প্রশ্নে জবাব না দিয়ে সে হাসপাতাল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হাসপাতাল ও ফকরুজ্জামানের চেম্বার কাম বাড়িতে গিয়ে তাকে সহ পরিবারের অন্যরা আত্মগোপনে থাকায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সাইদুর রহমামানের মা নিলুফা খাতুন সন্তান হারিয়ে প্রলাপ বকছেন। মাঝে মাঝে মূছা যাচ্ছেন। তিনি বার বার চিৎকার দিয়ে বলছেন, আমার ছেলেকে না পেলে আমি গলায় দড়ি (আত্মহত্যা )দিয়ে মরবো। আমার সোনার টুকরা ছেলেকে ওই ডাক্তার মেরে ফেললো। আমি ডাক্তারের বিচার চাই। সাইদুরের পিতা সানোয়ার হোসেন শোকে পাথর হয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। কোন কথা বলতে পারছেন না। মাঝে একটি কথায় বলছেন। আমার ছেলেকে ও মেরে ফেললো। এদিকে সাইদুরের আকষ্মিক মৃত্যুতে গাড়াডোব গ্রামে শোকের ছায়ার নেমে এসেছে। একই সঙ্গে পল্লী চিকিৎসক ফকরুজ্জামানের অবৈধ চিকিৎসা কার্যত্রম বন্ধের দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে গ্রামবাসীকে। গ্রামের বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় বিশ থেকে বাইশ বছর ধরে তিনি এই ধরণের অবৈধ চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। চিকিৎসা করে তিনি দ্বিতীয় তলা ভবন তৈরি করেছেন। গত এক বছরে তাঁর অপচিকিৎসায় এনিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সাত মাস আগে সদর উপজেলার খোকসা গ্রামের ইয়াসিন ফকির নামের এক ক্যান্সার রোগির পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হলে ফকরুজ্জামান করাত দিয়ে পা কেটে অপারেশ করেন। এর কিছুদিন পর ওই রোগীর মৃত্যু হয়। গাড়াডোব গ্রামে সান্তনা নামের এক গৃহবধু বিষপান করলে তার চিকিৎসালয়ে তিন দিন ধরে চিকিৎসা দেন। কিন্তু তিন দিন পর চিকিৎসালয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে গ্রামবাসীরা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি অভিযোগের তীর ছুড়েন। তারা সরকারি কোন কিছই দেখেও না দেখার ভান করে বসে থাকেন। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে জানান, পল্লী চিকিৎসক ফকরুজ্জামানের উপযুক্ত বিচার না হলে তার হাতে এভাবেই মানুষকে মরতে হবে। মেহেরপুর জেনারের হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহিদুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তি করার পুর্বেই সাইদুরের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তার নাক দিয়ে অতিরিক্ত ক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হ্েচ্ছ। বাকিটা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওার পর পরিস্কার হওয়া যাবে। মেহেরপুর সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক ফকরুজ্জামানকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply