রোনালদোর হ্যাট্রিকে রক্ষা পর্তুগালের
রোনালদোর হ্যাট্রিকে রক্ষা পর্তুগালের
যেকোনো বিচারে এগিয়ে ছিলো স্পেনই। ইতিহাসও পক্ষে ছিলো না পর্তুগালের। তারপরেও গ্রহের সেরা ফুটবলার যে তাদের দলেই। সমর্থকদের হতাশ করেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
তার হ্যাট্রিকেই হার এড়ালো পর্তুগাল।। অপরদিকে পর্তুগিজদের কাছে অপরাজিত থাকার ধারাটা অব্যাহত রাখলেও জয়টা পাওয়া হলো না স্পেনের।
ম্যাচের দুই মিনিটে দুর্দান্ত সূচনা পায় বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। বা-পাশ থেকে রোনালদো বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতরে ঢুকলে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার নাচো অবৈধভাবে বাধা দেন। পেনাল্টিতে গোল করতে কোন ভুল করেননি রোনালদো। স্পট কিক থেকে বাম কর্নারে বল পাঠিয়ে পর্তুগালকে ৪ মিনিটেই ১-০ গোলে এগিয়ে দেন তিনি।
এই গোলের সুবাদে কিছু মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি। বিশ্বকাপ ইতিহাসের ৪র্থ ফুটবলার হিসেবে ৪টি বিশ্বকাপে গোল করলেন রোনালদো। পাশাপাশি প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা আটটি আন্তর্জাতিক মেজর টুর্নামেন্টে গোল করার কৃতিত্বও এখন তার।
ম্যাচের ১০ মিনিটেই সমতায় ফেরার সুযোগ ছিলো স্পেনের। আলবার কাছ থেকে বল পেয়ে গোলবারের উপর দিয়ে তুলে দেন ডেভিড সিলভা। ম্যাচের ২৪ মিনিটেই স্পেনকে সমতায় ফেরান ডিয়েগো কস্তা। ডি বক্সের সামান্য বাইরে বল পেয়ে ভেতরে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জোরালো শটে বল জালে জড়ান কস্তা।
২৬ মিনিটে আবারো এগিয়ে যেতে পারতো স্পেন কিন্তু ডি বক্সের বাইরে থেকে ইস্কোর নেওয়া আচমকা শট গোলবারে লেগে গোললাইন থেকেই ফিরে আসলে গোল বঞ্চিত হয় স্পেন।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মাত্র এক মিনিট আগে গুয়েদেসের কাছ থেকে বল পেয়ে রোনালদো বা-পায়ে শট নিলে ডে গিয়ার হাত ফসকে জালে গিয়ে জড়ায়। ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে পর্তুগাল।
গোল পরিশোধে মরিয়া স্পেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ শুরু করে। ৫৫ মিনিটে আবারও কস্তার গোলে সমতায় ফেরে স্প্যানিশরা। আর তিন মিনিট পরেই নাচোর দূরপাল্লার শট লক্ষ্যভেদ করলে এগিয়ে যায় স্পেন।
৮৮ মিনিটে ত্রাতার ভূমিকায় আবির্ভুত হন সিআর সেভেন। দুর্দান্ত ফ্রিকিকে অসহায় বানিয়ে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক ডি গিয়াকে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৫১ তম হ্যাট্রিকটি আসে রোনালদোর পা থেকে।
শেষ দিকে জ্বলে ওঠা পর্তুগাল আরও কিছু আক্রমণ সানালেও গোলের দেখা পায়নি। শেষ পর্যন্ত সমতায় শেষ হয় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি।

No comments: