
রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়িত হবে আরণ্যক নাট্যদলের দর্শকনন্দিত নাটক ‘রাঢ়াঙ’। এদিন নাটকটির ১৮০তম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিরতিতে যাবে নাটকটি।
আরণ্যক সূত্রে জানা গেছে, এই নাটকটি ২০০৫ সাল থেকে নিয়মিতভাবে মঞ্চস্থ করছে আরণ্যক। মামুনুর রশীদ, চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, তমালিকা কর্মকারসহ আরণ্যকের গুণী শিল্পীরা এই নাটকটিতে অভিনয় করেছেন। এবার নাটকটি বিরতিতে যাচ্ছে। বুধবার এককালীন শেষ প্রদর্শনীর পর অনেকদিন আর মঞ্চে দেখা যাবে না নাটকটিকে।
সাঁওতালদের জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত এবং সংগ্রামের চিত্র নিয়ে ‘রাঢ়াঙ’ নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মামুনুর রশীদ। নাটকটির গল্প গড়ে উঠেছে সাঁওতালদের নিয়ে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন মঞ্চে প্রদর্শিত হয়েছে নাটকটি। ভারতের দিল্লি, কেরালা ও দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে নাটকটি প্রদর্শিত হয়েছে।
নাট্যকার ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ বলেন, ২০০০ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের নওগাঁয় আলফ্রেড সরেনের নেতৃত্বে ভূমির জন্য লড়াই ও আলফ্রেড সরেনের আত্মত্যাগ, সাঁওতালদের দীর্ঘ সংগ্রামের বিশাল উত্তরাধিকারকে মঞ্চে তুলে ধরার প্রয়াসই ‘রাঢ়াঙ’।
ভারতীয় উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যারা প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ায় তারা সাঁওতাল। ১৭৮৪ সালে হাজারীবাগ জেলার কালেক্টর ক্লিভল্যান্ডকে হত্যার মাধ্যমে এর সূত্রপাত।
তারপর ১৮৫৫ সালে সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরবের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’নামে এক ঐতিহাসিক প্রতিরোধ, যার পরবর্তী অধ্যায় সর্বভারতীয় প্রতিরোধ ও ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ।
এ অঞ্চলের আদিবাসীদের ভূমির অধিকারের লড়াইয়ে সাঁওতালদের অবদান একটি কিংবদন্তিসম উপাখ্যান। ভারত বিভক্তির পর ইলা মিত্রের নেতৃত্বে নাচোলের কৃষক আন্দোলনে সাঁওতালদের ভূমিকা আজও সংগ্রামী কৃষক ও আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে একটি আলোকবর্তিকা।
‘রাঢ়াঙ’ নাটকের এককালীন শেষ প্রদর্শনী
Tag: Entertainment
No comments: