তেল রফতানিতে বিশ্ব বাজারে ইরানের আধিপত্য খর্ব করতে তৎপর আমেরিকা

তেল রফতানিতে বিশ্ব বাজারে ইরানের আধিপত্য খর্ব করতে তৎপর আমেরিকা


ওয়াশিংটন: বিশ্ব বাজারে ইরানের একচেটিয়া তেল ব্যবসার আধিপত্য হ্রাস করতে মার্কিন মুলুক ইউরোপের ছোটো ছেটো সংস্থার সঙ্গে নানান বৈঠক সারছে৷ আদৌ বিশ্ব বাজারে ইরানের তেল বিক্রির পরিমাণ শূন্য কোটায় নামাতে পারবে কিনা তা নিয়ে উঠছে সংশয়৷

বিশ্ব বাজারে তেল সরবরাহে রাজা ইরান৷ বিশ্ব বাজারে যদি ইরান তেল আমদানি করা বন্ধ করে দেয়৷ তাহলে সেই ঘাটতি কোনও দেশই পূরণ করতে পারবে না৷ রফতানিকারক দেশগুলির সংস্থা ওপেকে ইরানের প্রতিনিধি হোসেইন কাজেমপুর আরদাবিলি জানান, আমেরিকা ইরানের উপর তেল রফতানি বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে৷ বিশ্বের অন্য কোনও তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরানের মতো তেল আমদানি করতে পারবে না৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ মে ইরানের বিরুদ্ধে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন৷ পাশাপাশি তিনি ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন৷ ইরানকে তেল আমদানির পরিমাণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার নির্দেশও দেন৷

ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা জারি হতে এখনও দুই মাস দেড়ি আছে৷ সময় যত এগিয়ে আসছে বিশ্বে তেলের ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে৷ গত সপ্তাহে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ৮০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল৷ এত কিছুর মধ্যে আমেরিকা কিছু পরিমাণ তেল মজুত রেখেছিল৷ সেই মজুত রাখা তেলের থেকে ১০ লাখ ব্যারেল তেল আন্তর্জাতিক বাজারে বলে সিধান্ত নেয়৷

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা ঘোষণা করে, মার্কিনের ইরানের উপর এই তেল নিষধাজ্ঞা বিশ্ব বাজারে অগঠন সৃষ্টি করতে পারে৷ এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বিশ্ব বাজারে বর্তমান পরিস্থিতি কোনোভাবেই ধরে রাখা সম্ভব হবে না৷
আমেরিকার জ্বালানিমন্ত্রী রিক প্যারি জানান, সৌদি আরব ও কুয়েতের মধ্যে যে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে ঝামেলা চলছে৷ তা খুব শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে৷ তারপর এই দুই দেশ তেল উত্তলনের কাজ শুরু করবে৷ ফলে বিশ্ব বাজারে আর তেলের ঘাটতি থাকবে না৷ এখন দেখার বিষয় তেল আমদানি করতে আমেরিকা কতটুকু সফল হবে৷