শুক্রবার মুখোমুখি হবে ফিলিস্তিন-তাজিকিস্তান
শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ফিলিস্তিন এবং তাজিকিস্তান। সেমিফাইনালে স্বাগতিকদের বিদায়ে অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে আসর। ফাইনাল জিততে মুখিয়ে আছে দু'দলই। নিজেদের শক্তিমত্তার ওপর ভরসা রাখছেন ফিলিস্তিন কোচ। আর ২০০৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ জয়ের সুখস্মৃতি থেকে আত্মবিশ্বাস খুঁজছেন তাজিকিস্তান কোচ। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ৫ম আসর। এই পাঁচবারে বাংলাদেশ ফাইনালে খেলেছিলো একবারই। এবারো স্বাগতিকদের ছাড়াই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল। তাই কিনা কিছুটা হলেও রং হারিয়েছে এবারের আসর।
এবারের আসরের ফাইনালে খোমুখি হবে তাজিকিস্তান এবং ফিলিস্তিন। মাঠে নামার আগে স্বাভাবিক ভাবে ফেভারিট দূর প্রাচ্যের দেশ ফিলিস্তিন। কারণটা একেবারে স্পষ্ট। এই আসরে গ্রুপ পর্বেই তাজিকদের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছিলো যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি।
এছাড়া র্যাংকিং কিংবা পরিসংখ্যানে চোখ রাখলেও এগিয়ে থাকবে ফিলিস্তিন। ফিফা র্যাংকিংয়ে তাদের অবস্থান ১০০। অন্যদিকে তাজিকিস্তান রয়েছে ২০ ধাপ পেছনে। আর ফাইনালটাও তারা নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকদের হারিয়ে। আসর জুড়ে ছন্দ দেখাচ্ছে দ্য নাইটসরা। দলের শক্তিমত্তায় ভরসা কোচের।
ফিলিস্তিন কোচ নূরউদ্দিন আলী বলেন, 'আমরা শিরোপা জিততে এসেছি। ছেলেরা ছন্দে রয়েছে। এই টুর্নামেন্টেই ওদের বিপক্ষে আমাদের জয় রয়েছে। তবে ফাইনালের আগে আমরা খুব বেশি সময় পাইনি বিশ্রামের। যেটা একটু চিন্তার কারণ। তাছাড়া আবহাওয়াও খুব একটা ভালো না। তবে সব প্রতিকূলতা জয় করে আমরা শিরোপা জিততে প্রস্তুত।'
ফাইনালে এসে নিশ্চয়ই কেউ চাইবে না খালি হাতে ফিরতে। শিরোপা জিততে চায় তাজিকিস্তানও। কিন্তু বাস্তবতা হলো নামে ভারে এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তাজিকিস্তান শিবিরে রয়েছে বেশ কিছু ইনজুরি সমস্যা। যা ভাবাচ্ছে কোচকে। তাছাড়া গ্রুপ পর্বে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে হারের অভিজ্ঞতায় একটু বাড়তি সতর্ক তাজিকিস্তান।
তবে একটা জায়গায় আত্মবিশ্বাস খুঁজছে তারা। ২০০৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ জিতেছে দ্য পার্সিয়ান লায়নরা। তাই বাংলাদেশকে দেখছেন তারা লাকি গ্রাউন্ড হিসেবে।
তাজকিস্তান কোচ আলি সের তুথুতায়েভ বলেন, 'দেখুন এই টুর্নামেন্টে আমাদের ঘরোয়া লিগে যারা ভাল করেছে তাদের নিয়ে এসেছি। এটা তাদের পরখ করার জন্য। আমাদের অনেক ফুটবলার বিভিন্ন দেশের লিগে খেলছে এখন। তবে আমরা তাদের নিয়ে আশাবাদী। তাছাড়া ঢাকার মাঠ আমাদের লকি গ্রাউন্ড।আমরা এর আগে শিরোপা জিতেছি।'
স্বাগতিকরা না থাকায় হয়ত দেশের দর্শকদের মাঝে খুব একটা আগ্রহ নেই ম্যাচটার। তবে দু'দলের ফুটবলীয় নৈপুন্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নিশ্চয়ই সাক্ষী হবে একটি জমজমাট ম্যাচের।
স্বাগতিকদের ছাড়াই হবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল
Tag: games
No comments: