দীর্ঘদিন অবৈধ দখলে থাকা দেড় বিঘা জমি অবশেষে বুঝে পেলো ঢাকেশ্বরী মন্দির। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দখলমুক্তের প্রতিশ্রুতি দেয়ার ২৬ দিনের মাথায় দখলদাররা মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে জমি হস্তান্তর করে। এখনও অবৈধ দখলে থাকা প্রায় সাড়ে ১২ বিঘা জমি উদ্ধারের দাবি জানান মন্দির কর্তৃপক্ষ।
ঢাকেশ্বরী মন্দির। এটি বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানই শুধু নয়, রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক-প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও বটে।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রায় ৮শ’ বছর আগে দ্বাদশ শতাব্দীতে স্থাপিত হয় ঢাকেশ্বরী মন্দির। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ভাওয়াল রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় বাহাদুর মন্দিরটিকে ঘিরে ২০ বিঘা জমি রেকর্ডভুক্ত করেন।
তারপর বুড়িগঙ্গায় অনেক জল গড়িয়েছে। কালের বিবর্তে দেশ ভাগ হয়েছে ৪৭ এ, ৬৫ র পাক-ভারত যুদ্ধসহ নানাবিধ উস্কানিতে নানা মহল মন্দিরের প্রায় ১৪ বিঘা জমি দখল করে।
গত মাসে দুর্গাপুজার সময় এই মন্দির পরিদর্শনে এসে প্রধানমন্ত্রী মন্দির লাগোয়া প্রায় দেড় বিঘা জমি দখলমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার অবৈধ মালিকানা ছেড়ে দেন দখলদাররা। সংবাদ সম্মেলনের মন্দির কর্তৃপক্ষ কৃতজ্ঞতা জানালেন।
এখনও অবৈধ দখলে আছে মন্দিরের অন্তত সাড়ে ১২ বিঘা জমি। মন্দিরের চারপাশ ঘিরে ওইসব জমি দখল হয়ে হাতবদল হয়েছে একাধিকবার।
বুঝে পাওয়া দেড় বিঘাসহ মন্দিরের জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে সাত বিঘায়। মামলা চলতে থাকা বাকি জমিগুলোর দখল পেতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
No comments: