Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ‘ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে যাওয়ার সময়ও অসহায়বোধ করিনি’





‘নারীরা কোথায় হয়রানির শিকার হয় না, বলুন! বাড়িতে, রাস্তায় অলি গলি সব জায়গায় তাঁদের হয়রানিতে পড়তে হয়। এমনকি কর্মক্ষেত্রেও।’— ‘মি টু’ আন্দোলন প্রসঙ্গে কথাগুলো অকপটে বলেছেন বলিউড অভিনেত্রী মণীষা কৈরালা।

ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে গতকাল শুক্রবার সকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘ব্রেকিং ব্যাড’ অধিবেশনে  আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বলিউড এই অভিনেত্রী মণীষা কৈরালা। এ ছাড়া এতে অংশ নিয়েছিলেন ভারতীয় পরিচালক নন্দিতা দাস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন  উৎসবের অন্যতম পরিচালক সাদাফ সায। অধিবেশনে  ‘মি টু আন্দোলন’ প্রসঙ্গে অনেক কথা সোজাসাপ্টা বলেছেন মণীষা কৈরালা ও নন্দিতা দাস।

মণীষা কৈরালা বলেন, ‘জীবনে কোনো কিছু সহজ ভাবে আসে না। লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেক পরিশ্রম ও সাধনা করতে হয়। ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে যাওয়ার সময়ও আমি অসহায়বোধ করিনি। আমি চাইনি কেউ আমাকে করুণা করুক। মনে সাহস রেখেছিলাম। নারী হয়ে জন্মালেই সবকিছুর সঙ্গে যুদ্ধ করে বেড়ে উঠতে হয়। এটাই বাস্তবতা। যাঁরা প্রকাশ্যে যৌন নিপীড়নের কথা বলছেন তাদের সাহস আছে। অভিযোগ সত্য হলে নিপীড়কদের কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তবে শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচার হওয়ার  পক্ষে আমি নই।’

অন্যদিকে, মণীষার সঙ্গে একমত পোষণ করেন নন্দিতা দাসও। তিনি বলেন,‘এখনকার মেয়ের সাহসী। তাঁরা যৌন হেনস্থার কথা অকপটে বলছেন। এটা অনেক ইতিবাচক ব্যাপার।’

কথায় কথায়  ছবিতে আইটেম গানের বিষয় নিয়েও কথা বলেন নন্দিতা ও মণীষা। আইটেম গান পছন্দ করেন না জানিয়ে নন্দিতা সরাসরি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে সাচ্ছান্দ্যবোধ করি না। আইটেম গানের পারফর্ম দেখলে আমি অস্বস্থি অনুভব করি। অভিনেত্রীর সঙ্গে কিছু মানুষের অঙ্গভঙ্গি আমার ভালো লাগে না।’

তবে, এ ব্যাপারে মণীষা পুরোপুরি একমত নন। তিনি বলেন, ‘রুচিশীল উপস্থাপনা হলে ঠিক আছে। এটা আসলে নির্ভর করে পরিচালকের ওপর।’

এদিকে, ‘ডার্ক ইজ বিউটিফুল’ প্রচারাভিযান করে খুব আলোচিত হয়েছিলেন নন্দিতা। তিনি বলেন, ‘ফর্সা মানেই সুন্দর নয়। কালো হলেই হীনমন্যতা ভুগতে হবে কেন? বরং আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। আমি কখনো আমার গায়ের রং বদলাতে চাইনি।’ 

অন্যদিকে, মণীষা বলেন, ‘অভিনেত্রীরা ৪০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর শরীরের সৌর্ন্দয ধরে রাখার জন্য অস্ত্রোপচার করছে শুধু নায়িকা চরিত্র কিংবা ভালো রোল পাওয়ার জন্য। কারণ পুরুষরা অনেক বয়সেও নায়ক চরিত্রে অভিনয় করতে পারে কিন্তু নারীরা পারে না।’

এদিকে, এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবে মণীষা কৈরালা ও নন্দিতা দাস ছাড়াও অংশ নিয়েছেন  অস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ অভিনেত্রী টিলডা সুইনটন।  গতবার উৎসবেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। উৎসবে বিভিন্ন শিল্পী ও সাহিত্যকদের পাশাপাশি এই তিন অভিনেত্রীর উপস্থিতি ভিন্নমাত্রা যোগ করবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। বাংলা একাডেমিতে  তিন দিনব্যাপী শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply