Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বিএনপির সামনে কি নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় আছে?





  বিএনপির সামনে কি নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় আছে?

আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা-না-করা নিয়ে বাংলাদেশের বিরোধীদল বিএনপির নেতারা শনিবার নিজেদের মধ্যে এবং তাদের মিত্র ও শরিকদলগুলোর সাথে কয়েকটি বৈঠক করছে।

মনে করা হচ্ছে, আজকের এ বৈঠকগুলোর পরই আগামী ২৩শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপির সিদ্ধান্তের কথা জানা যাবে।

বিএনপি ঠিক কি সিদ্ধান্ত নেবে তা এখনো অস্পষ্ট। তবে রাজনীতিবিদ , বিশ্লেষক, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম এবং এমনকি বিএনপির সাধারণ কর্মী সমর্থক - সবাই কথা বলছেন এ নিয়ে।

শনিবার ঢাকার গুলশান এলাকায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ভিড় জমানো কয়েকজন দলীয় কর্মীর সাথে কথা হয় বিবিসি বাংলার প্রতিবেদকের।

দু'জনের কাছ থেকে শোনা গেল দু'রকম কথা।

একজন বলছিলেন,"নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই হাসিনা সরকারকে হটানো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার মনে হয়। এই জন্যেই (বিএনপির) নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত।"

আরেকজন বলেন, "বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় - তাহলে

মাঠ পর্যায় থেকে সকল পর্যায়ে তারা যেভাবে সাজিয়েছে, তাতে নির্বাচনে গেলে ভালো কোন রেজাল্ট আসবে না। বরং তারা নির্বাচনে জিতবে এই বৈধতাটাই তাদের দেয়া হবে। এখনই আমরা হাজার হাজার লোক বাড়িতে থাকতে পারি না, পরবর্তীতে কোথায় যে যাবো সেই জায়গাটুকুও নাই। তাই বৈধতা দেবার চাইতে এ নির্বাচনে না যাওয়াই ভাল।"



বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণার পর বিএনপিসহ বিশ দলীয় জোটের নেতারা বৈঠকে বসেন কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় বৈঠক।

এর মধ্যেই বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্র রিপোর্ট করে যে বিএনপির সিনিয়র নেতারা নির্বাচনে যাবার ব্যাপারে 'নীতিগত সিদ্ধান্ত' নিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোন কিছু জানানো হয় নি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কা‌দের দলটির মনোনয়ন ফরম বিতরণের দ্বিতীয় দিন শ‌নিবার সকা‌লে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেনন, তার মনে সন্দেহ নেই যে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে।

মি. কাদেরকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, তারা এ ব্যাপারে 'আশাবাদী।'


সরকারের সাথে সংলাপে বিএনপি সহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা
রাজনৈতিক বিশ্লেষক রওনক জাহান বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, "তাদের সামনে তো বিশেষ কোন পথ খোলা নেই। তারা যদি নির্বাচনে না যেতে চান তাহলে তাদের রাজপথে একটা বিরাট আন্দোলন করতে হবে। সেটা তারা গতবার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তাতে লাভ হয় নি বরং দলটির ক্ষতি হয়েছে। এখন সেরকম আন্দোলন করার মতো সক্ষমতা তাদের আছে বলে মনে হচ্ছে না।"

"যদিও তারা সমান সুযোগ পাচ্ছেন না, তারপরেও, মনে হয় যে তাদের নির্বাচনে যেতেই হবে। তবে এর জন্য তারা ভেতরে ভেতরে কতটা প্রস্তুতি নিয়েছেন তা বলতে পারবো না ।"

দলটির আরেকজন সিনিয়র নেতা বিবিসিকে বলেছেন, তারা মনে করেন বিএনপির এবার কোনোভাবেই নির্বাচন থেকে বিরত থাকা উচিত হবেনা।

কারণ তার বিশ্বাস যে নির্বাচন যদি 'ন্যূনতম সুষ্ঠুও হয়' তাহলেও শেষ পর্যন্ত জনরায় তাদের পক্ষেই আসবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে.(অব) মাহবুবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, যেহেতু নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়ে গেছে এবং ১৯শে নভেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে - তাই এ পরিস্থিতিটা শনিবারের বৈঠকগুলোয় উঠবে বলেই তিনি মনে করেন।


বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি সরকার মেনে নেয় নি
বর্তমান সংসদের মেয়াদ রয়েছে ২০১৯ সালের ২৮শে জানুয়ারি পর্যন্ত। বিরোধী রাজনৈতিক জোট, অর্থাৎ বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট সংসদ ভেঙে দিয়ে মেয়াদ পূর্তির পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সেজন্য তারা তফসিল পিছানোরও দাবি করেছিল।

কিন্তু তাদের দাবি না মেনে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে।

শনিবার বিকেলে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠক সহ মোট তিনটি বৈঠক হবে।

বিএনপি যে দুটি জোটে আছে তার শরিকদের সাথে বৈঠক করছে। প্রথমে জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সাথে একটি বৈঠক, এবং দিনের শেষ বৈঠকটি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিরোধীদলীয় জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে।







«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply