কনকনে শীতের সকাল, কুয়াশাঢাকা ভোর যদি শুরু হয় এক কাপ কফি হাতে নিয়ে, তবে কতইনা ঝরঝরে হয়ে ওঠে সকালটা। মাঝে মাঝে কাজের ফাঁকে কফির মগে ঠাণ্ডা হাতটা সেঁকে নেয়া। আমাদের অনেকেরই কফিতে চুমুক না দিলে সকালটা বৃথা হয়ে যায়। বিকেলের আলসেমি কাটতেও কফির জুড়ি নেই। আসুন জেন নেই কফির যত উপকারিতা।
অমনোযোগিতা কাটিয়ে উঠতে
সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলিয়ে কাজে মনযোগ আনতে কফি খুবই উপকারী। এক চুমুক কফিতে একঘেয়েমিতা কাটিয়ে উঠতে কফিতে থাকা ক্যাফেইন উপাদানের অবদান রয়েছে।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে
নিয়মিত কফি পানে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। বয়স বাড়ার পারকিসন’স এবং আলৎঝাইমার’স রোগের কারণে মানুষের স্মৃতিধারণ ক্ষমতা কমতে থাকে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ 'ব্ল্যাক কফি' মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ঠিক রাখে। ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
ওজন কমায়
ব্যায়াম করার আধা ঘন্টা আগে এক কাপ কফি পান করলে বিপাকের পরিমাণ বেড়ে যায় ৫০ শতাংশ। যার কারনে ওজন হ্রাস পায়। তাছাড়া কফি পানে বাড়ে বাড়ে ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমে যায়।
তারুণ্য ধরে রাখে
নিয়নিত ব্ল্যাক কফি পান করলে শরীরে ডোপামিন’য়ের মাত্রা বেড়ে গিয়ে পারকিনসন্স রোগের ঝুঁকি কমায়। মন ও বয়স দুটোই তরুন থাকে।
ক্যান্সারের ঝুকি কমায়
পুষ্টিগুণ আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই পানীয়টি। কফিতে ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি২, থায়ামাইন বি১, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। স্কিনক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবেও বেশ কার্যকর কফি।
ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণাপত্রে সম্প্রতি জানিয়েছে প্রতিদিন কফি পান করলে সেটা শরীরে ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে ত্বক রক্ষা পায় ক্যান্সারের হাত থেকে।
No comments: