নতুন ফর্ম্যাট অনুযায়ী এলিটের ‘এ‘ ও ‘বি’ গ্রুপ মিলিয়ে রঞ্জি নকআউটে ছাড়পত্র পাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে মনোজ তিওয়ারিরা৷ তবে খাতায় কলমে সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। তাই ঘরের মাঠে দিল্লি ও পঞ্জাবের বিরুদ্ধে শেষ দু’টি ম্যাচে মিরাকল কিছু করে দেখাতে হবে বাংলাকে। সেই লক্ষ্যে ঘরের মাঠে দিল্লির বিরুদ্ধে অভিযানটা একেবারেই সুখের হল না মনোজব্রিগেডের। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ইডেনে দিল্লিকে টক্কর দিতে ব্যর্থ বাংলা।
রবিবার বোলারদের দাপটে দিল্লিকে আড়াইশোর মধ্যে গুটিয়ে দেওয়ার পর দায়িত্ব এসে বর্তায় ব্যাটসম্যানদের কাঁধে। কিন্তু বর্ষশেষের সকালে ইডেনের বাইশ গজে বাংলা ব্যাটসম্যানদের হারাকিরি। দিনের শুরুতে অভিষেক রমনের উইকেট হারায় বাংলা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ চ্যাটার্জির ৬৩ রানের পার্টনারশিপে ভর করে কিছুটা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেয় বাংলা।
Advertisement
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় আপ্লুত ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন
তবে দ্বিতীয় উইকেটের পার্টনারশিপ ভাঙতেই লড়াই থেকে হারিয়ে যায় মনোজব্রিগেড। অর্ধশতরান থেকে দশ রান দূরে থেমে যায় ইশ্বরণের ইনিংস। ঘরের মাঠে সফল হতে পারলেন না অধিনায়ক মনোজ নিজেও। ১৫ রানে ফিরলেন তিনি। এরপর অনুষ্টুপের ইনিংস স্থায়ী হল মাত্র ৪ রানের জন্য। অর্ধশতরান করে দলকে টানার চেষ্টা করে গেলেন সুদীপ। কিন্তু অর্ধশতরানের পরই থামল তাঁর ইনিংস। ৫৬ রানে ফিরলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে বিয়ার পান, মদ্যপ শাস্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কের ঝড়
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মাঝেও শেষদিকেও দিল্লির রান পেরিয়ে যাবার লক্ষ্যে চালিয়ে খেলতে থাকেন টেল এন্ডার প্রদীপ্ত প্রামাণিক। ৩৮ বলে ৩৭ রান করে প্রদীপ্ত অপরাজিত থাকলেও ২২০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলার প্রথম ইনিংস। দিল্লির হয়ে কুলবন্ত খেজরোলিয়া ও সুবোধ ভাটি নেন তিনটি করে উইকেট। প্রথম ইনিংসে ২০ রানে পিছিয়ে পড়ায় পয়েন্টের লক্ষ্যে মরিয়া মনোজদের জয় ছাড়া আর কোনও গতি নেই। যার জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে মিরাকল কিছু করে দেখাতে হবে বাংলাকে।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিদ্রুপ অজি অধিনায়ককে
তবে প্রথম ইনিংসে বোলারদের গড়ে দেওয়া মঞ্চে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় নক আউট থেকে ক্রমশ পিছু হটছে বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ৪১ রান তুলেছে দিল্লি। বাংলার থেকে তারা এগিয়ে ৬১ রানে।
No comments: