ঠান্ডা বাতাস ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার স্বাভাবিক জনজীবন। অনেক বেলা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঠাকুরগাঁওয়ে গত কয়েকদিন ধরে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক। বেলা হবার পরেও দেখা মেলেনি সূর্যের। রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শীতকে উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে দিনমজুরদের।
পঞ্চগড়ে কনকনে ঠাণ্ডায় খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর হতে বের হচ্ছেন না। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমুল মানুষ। রাস্তার পাশে খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন অনেকেই।
এদিকে, রংপুরের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি।
রাজশাহীতে সকাল (১৩ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় ১১ দশমিক শুন্য ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঠান্ডা বাতাসের কারণে চুয়াডাঙ্গায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। কুয়াশায় ঢাকা থাকে রাস্তাঘাট ও মাঠঘাট। দুর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
No comments: