নানা দাবি আদায় আর বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতে রাজপথে আন্দোলনে মুখর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। যুক্তরাজ্যে ব্রেক্সিটের পক্ষে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে। এছাড়াও বিভিন্ন দাবিতে গুয়াতেমালা, বেলজিয়াম এবং সার্বিয়ায়ও বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
গানে গানে প্রতিবাদ। অভিনব এ পন্থাটি বেছে নিয়েছে গুয়াতেমালার সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘের সহযোগিতায় পরিচালিত দুর্নীতিবিরোধী একটি সংস্থা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার রাস্তায় নামেন তারা। এতে অংশ নেন বহু মানুষ। তারা প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেসের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
ভীত হয়েই প্রেসিডেন্ট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ তার সরকার বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাই তিনি নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতেই, জনগণের কথায় কর্ণপাত করছেন না।
বর্তমান প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে সার্বিয়ায় বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। প্রবল শীত উপেক্ষা করে এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ। তারা বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। এ সময় পুরো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গত ৬ সপ্তাহ ধরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে আসছে দেশটির সাধারণ মানুষ।
মানুষ একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে না। তারা সামগ্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। আমরা চাই অবস্থার পরিবর্তন হোক।
ব্রেক্সিটের পক্ষে যুক্তরাজ্যের মধ্য লন্ডনে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ' মানুষ। অবিলম্বে ইউরোপ ছাড়ার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র প্রতি আহ্বান জানান। ইয়েলো জ্যাকেট পড়া এসব বিক্ষোভকারী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন। এ সময় বিক্ষোভ থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ব্রেক্সিট ব্যর্থ হলে তা হবে, গণতন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
এছাড়াও সরকারের অভিবাসন নীতির বিরোধীতা করে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। তারা অভিবাসন নীতি পরিবর্তনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। নয়তো ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দেয়া হবে বলেও সতর্ক করেন আন্দোলনকারীরা। সম্প্রতি অভিবাসনবিরোধী নীতি ঘোষণা করে বেলজিয়াম সরকার। শুরু থেকেই এর তীব্র বিরোধীতা করে আসছে দেশটি বিভিন্ন সামজিক এবং রাজনৈতিক সংগঠন।
No comments: