অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল ও ফকিরাপুলের ২টি হোটেলের মান গ্রেড A থেকে গ্রেড B তে নামিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এক মাসের মধ্যে সংশোধন করা না হলে তাদের স্টিকার পুরোপুরি বাতিল করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার লক্ষে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও সায়দাবাদের বেশ কয়েকটি এলাকায় অনুমোদনহীন পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে বিএসটিআই। এ সময় প্রায় কয়েক হাজার পানির জার জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মতিঝিলে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
এ সময় হোটেলের মান নির্ধারণের জন্য দেওয়া স্টিকার পাওয়া বেশ কয়েকটি হোটেলে তারা অভিযান চালান। হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি, খাবার ও ক্যামিকেল একসঙ্গে রাখা, সঠিকভাবে খাবার সংরক্ষণ না করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া যায়।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, বার বার সতর্ক করার পরও হোটেলগুলো কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রাথমিকভাবে তাদের গ্রেড নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে তারা সংশোধন না করলে তাদের স্টিকার বাতিল করা হবে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদ বলেন, ‘দিলকুষা এলাকায় শাহ চন্দ্রপুরী রেস্টুরেন্ট আমরা ভিজিট করেছি। সেখানে আমরা সমস্যা পেয়েছি। তাদের গ্রেড নামিয়ে দেয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা উন্নতি করতে না পারলে সিলগালা করে দেয়া হবে।’
এদিকে, নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার লক্ষে অনুমোদনহীন পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে বিএসটিআই। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও সায়দাবাদের বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালায় ১০ সদস্যের বিএসটিআই দল। অপরিশোধিত পানির কারখানায় অভিযান চালিয়ে পানির জার জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এছাড়া পানি সরবরাহকারী পিকআপ থামিয়ে পানির জার ধ্বংস করে বিএসটিআই। জব্দ করা হয় বেশ কয়েকটি পানির পাম্প।
বিএসটিআইয়ের উপ পরিচালক গোলাম বাকী বলেন, 'ওরা যে পাম্প দিয়ে পানি উঠায় সেই পাম্প আমরা নষ্ট করে দিচ্ছি। এছাড়া নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদ পানি পায় তার জন্যে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।'
অবৈধ পানির বিরুদ্ধে বিএসটিআই এর চলমান বিশেষ অভিযানে এখন পর্যন্ত ২০ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
No comments: