Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ফেসবুকে প্রেমের টানে ঝিনাইদহে মার্কিন তরুণী




প্রেমের টানে ঝিনাইদহে মার্কিন তরুণী ভিসার মেয়াদ না থাকায়

প্রেম করে বাংলাদেশে আসা মার্কিন তরুণী ওই দেশে ফিরে গেছেন। তবে তারা দু’জন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার করছেন। তরুণী রিজিনা এসলিক দাবি করেছেন, তার স্বামীর দেশে থাকার ইচ্ছা থাকলেও আইনি সমস্যায় থাকতে পারেননি, এবার স্বামীকেই তার নিজের কাছে নিয়ে যাবেন। ভালোবাসার টানে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি গ্রামের নির্মল বিশ্বাসের পুত্র মিঠুন বিশ্বাসের বাড়িতে চলে আসেন মার্কিন তরুণী এলিজাবেথ রিজিনা এসলিক (২১)। এখানে এসে মিঠুন বিশ্বাসকে বিয়ে করেন। মিঠুন বিশ্বাস (২৬) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি গ্রামের নির্মল বিশ্বাসের পুত্র। তার আরো দুইটি ভাই আছে। তিনি বিএ পাশ করে একটি এনজিওতে কাজ করেন। মিঠুন বিশ্বাস জানান, ২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে এলিজাবেথ রিজিনা এসলিক এর সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর এক মাস চলে তাদের এই বন্ধুত্ব। এলিজাবেথ রিজিনা এসলিক ওয়াশিংটনের ওরিয়েন্ট শহরে বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করত। তার বাবা রয় এসলিক একজন ব্যবসায়ী। তারা এক ভাই এক বোন। আরোপড়ুন ঝিনাইদহে নারী দিয়ে খোপ ধরতে গিয়ে নিজেয় খোপে পড়লেন এ এস আই রাজু ঝিনাইদহে নেমেছে বিদ্যুতের ৮০০ ভ্যান, ৫মিনিটে সংযোগ শৈলকুপায় সিমেন্ট ও বালু বোঝাই ট্রাকে আগুন রিজিনা ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকায় আসে। সেখানে মিঠুনের পরিবারের সকলেই উপস্থিত থেকে রিজিনাকে রিসিভ করেন। ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রামের বাড়িতেই খ্রিষ্ট ধর্ম মতে তাদের বিয়ে হয়। এলিজাবেথ রিজিনা এসলিক হয়ে যান এলিজাবেথ রিজিনা বিশ্বাস। প্রথম দিকে তরুণী মিঠুনদের বাড়িতে থাকা অবস্থায় প্রচুর ভিড় হতো। সবাই বিদেশি বধূকে দেখতে আসত। মিঠুন বিশ্বাস জানান, রিজিনা এদেশে আসার সময় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। মেয়েটির পরিবার কোনো অর্থ দেয়নি। এই অবস্থায় রিজিনা নিজেই ৫ মাস শহরের একটি শপিং মলে কাজ করে এ দেশে আসার টাকা জোগাড় করেছেন। তারপর চলে এসেছেন বাংলাদেশে। এখানে আসার পর তাদের বিয়ে হয়েছে। তিনি রিজিনাকে অনেক স্থানে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়িয়েছেন। যা তার খুব ভালো লেগেছে, এগুলোতে সে খুব খুশি হতো। তিনি জানিয়েছেন, তার শ্বশুরের সঙ্গে তাদের স্বামী-স্ত্রীর কোনো যোগাযোগ নেই। তবে শাশুড়ি মাঝে মধ্যে তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে থেকে স্বামীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাগজপত্র তৈরি করছেন। তাদের সংসারে এখনো নতুন কোনো অতিথি নেই বলে জানান মিঠুন। মিঠুন বিশ্বাসের বাবা নির্মল বিশ্বাস জানান, তার আরো দুইটি পুত্রবধূ রয়েছে। একজন অনেক দুর থেকে এসেছে, আর দুজন বাড়ির কাছের। সবার এতটা মিল যা খুবই কম পরিবারে থাকে। মিঠুন বিশ্বাসের মা মায়া বিশ্বাস জানান, এত ভালো একটা পুত্রবধূ পাবেন তা কখনো কল্পনা করেননি। দুই দফা তার বাড়িতে এসে চার মাস থেকেছেন। এই সময়ে বাড়ির সব কাজ করত। মাছ কাঁটা, রান্না করা, বাড়ি ছাড়– দেওয়া থেকে শুরু করে সবই করত পুত্রবধূ রিজিনা। প্রথম দিকে তার খাবারের একটু সমস্যা ছিল, পরে সেটা মানিয়ে নিয়েছে। বাঙালি খাবার খেয়েছে, কিছু কিছু কথা বাংলাতেও বলত।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply