Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » তিক্ততা ‘ভ্যানিশ’! প্রচারে এক মঞ্চে মুলায়ম-মায়াবতী




প্রকাশ্যেই মায়াবতী-বিরোধী সুরে কথা বলছেন। এ বার তাঁকেও জোট বন্ধনীতে শামিল করে আগামী দিনের লড়াইকে নিষ্কন্টক করতে উদ্যোগী হলেন মায়াবতী। এমন ছবি ২৪ বছরে কল্পনাও করেননি কেউ! আগামী ১৯ এপ্রিল সেটাই দেখা যাবে উত্তরপ্রদেশে। মায়াবতী, অখিলেশ যাদবের সখ্য এখন আর অপরিচিত নয় উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে। বিজেপিকে গোবলয় থেকে উৎখাত করতে বহু বছরের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে বুয়া-বাবুয়া এখন একজোট হয়ে প্রচার শুরু করার মুখে। কিন্তু এখনও বেসুরে বাজছেন এসপি-র প্রবীন নেতা মুলায়ম সিংহ যাদব। প্রকাশ্যেই মায়াবতী-বিরোধী সুরে কথা বলছেন। এ বার তাঁকেও জোট বন্ধনীতে শামিল করে আগামী দিনের লড়াইকে নিষ্কন্টক করতে উদ্যোগী হলেন মায়াবতী। আগামী ১৯ এপ্রিল মুলায়ম সিংহের নির্বাচনী কেন্দ্র মঈনপুরীতে যৌথ জনসভায় উপস্থিত থাকবেন মায়াবতীও। ওই জনসভায় পাশাপাশি দেখা যাবে মায়াবতী ও মুলায়মকে। সঙ্গে অবশ্যই মুলায়ম-পুত্র অখিলেশকেও। এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য যে ভারতীয় রাজনীতিতে দেখা যাবে, কিছু দিন আগেও তা ছিল কল্পনার বাইরে। ১৯৯৫ সাল থেকে রাজ্যের এই দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে সম্পর্ক রীতিমত তিক্ত। বিধানসভার হোক বা লোকসভার ভোট, পরস্পরকে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গিয়েছে দু’জনকে। শেষ বার এসপি-বিএসপি জোট বেঁধেছিল ১৯৯৩ সালে, রামমন্দির আন্দোলনে বলীয়ান বিজেপিকে আটকানোর জন্য। বিএসপির প্রতিষ্ঠাতা কাশিরাম এবং মুলায়ম হাত মিলিয়েছিলেন সে সময়ে। বিধানসভায় বিপুল ভাবে জেতে সেই জোট। কিন্তু দু’বছর পর, মায়াবতীর উপর চড়াও হয়ে এসপি কর্মীরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। ১৯৯৫-এ সেই কুখ্যাত মীরাবাই মার্গ গেস্ট হাউস কাণ্ডের পর শুরু হয় শত্রুতা। মায়া বিজেপির হাত ধরেন। এ যাত্রায় শুধু বিজেপি নয়, কংগ্রেসকেও সূচ্যগ্র জমি ছাড়তে রাজি নন মায়া। রাজনীতিতে প্রিয়ঙ্কা বঢরার অভিষেকের পর কংগ্রেস এ রাজ্যে নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মায়াবতী সম্প্রতি অখিলেশকেই অমেঠী অর্থাৎ রাহুল গাঁধীর আসনে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। প্রিয়ঙ্কা ভীম পার্টির নেতা চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে মেরঠে দেখা করার পরে কংগ্রেসকে আর রেয়াত করে চলার মেজাজেই নেই মায়াবতী। সরাসরি তাদের টক্কর নিতেও প্রস্তুত। কারণ বিএসপি মনে করছে, তাদের নিজস্ব ভোটব্যাঙ্কে ধস নামানোটাই প্রিয়ঙ্কার উদ্দেশ্য। এই অবস্থায় এসপির হাত শক্ত করে ধরেই বিজেপি-কংগ্রেসের মোকাবিলা চান মায়া। যে কারণে মায়াবতী তাঁর দলের কোর কমিটির বৈঠক করেছেন অখিলেশের উপস্থিতিতেই। দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ স্থির হয়েছে, সাত দফার ভোটপর্বে বিএসপি-এসপি-আরএলডি মোট ১২টি যৌথ জনসভা করবে। প্রচারের সুবিধার জন্য গোটা উত্তরপ্রদেশকে ৬টি সেক্টরে ভাগ করে নেওয়া হবে। প্রত্যেকটির জন্য এক জন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা থাকবেন। তৃণমূল স্তরেও যাতে বিএসপি-এসপির মধ্যে ঐক্য বহাল থাকে, দু’দলের সমর্থকেরা যাতে অবাধে নিজের কেন্দ্রে জোটসঙ্গীর প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়েও সতর্ক থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অখিলেশ এবং মায়াবতী।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply