Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » শরীরের মেদ কমাতে ১৫ টা টিপস অবশ্যই জেনে নিন




১. স্ট্রেংথ ট্রেনিং শুরু করুন
এই ট্রেনিং আপনার শরীরের পেশীর ওজন বাড়ায়। পেশীর শক্তি বৃদ্ধি করে। আসলে এই ট্রেনিং হলো বেশি মাত্রার বাধার সামনে জোরপূর্বক থাকার চেষ্টা, যা পেশীর কর্মক্ষমতা বাড়ায়। দেখা গিয়েছে যে এই ট্রেনিং ভিসেরাল ফ্যাট অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। ভিসেরাল ফ্যাট হলো সেই ফ্যাট যা আমাদের পেটের ভিতরের অর্গানের উপর জমতে থাকে। এর সাথে অ্যারোবিক্স করলে এর ফল অনেকটাই বেশি পাওয়া যায়।
২. প্রোটিন ডায়েট
চেষ্টা করুন রোজকার খাবারে প্রোটিন বেশি খাওয়ার। প্রয়োজনমতো প্রোটিন খেলে আপনার শরীরে ফ্যাট জমতে দেবে না। সাথে হজম শক্তিকে ঠিক রাখবে। প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি নিজের ডায়েটে রাখলে অতিরিক্ত ফ্যাট পেটে জমতে দেয় না। পরিমাণ মেপে রোজ ডিম, সামুদ্রিক খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. ঘুমের পরিমাণ একটু বাড়ান
প্রতিদিন যেমন সকালে উঠছেন, তেমনি একটু আগে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। কথায় আছে তিনদিনের কাজ করার ক্লান্তি এক রাত জেগে কাটানোর সমান। এর পাশাপাশি রাতের ঠিক সময়ে ঘুম যেমন আপনার শরীরের ক্লান্তিতে মেটায়, তেমনি রাতের খাবারকে ভালো ভাবে হজম করার সময় পায়। যে কারণে সমীক্ষায় দেখা গেছে যে যারা পাঁচ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমাচ্ছেন, তাদের শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমার প্রবণতা বাড়ছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটা ভিসেরাল ফ্যাট।
৪. ভিনিগার খান
চেষ্টা করুন রোজকার খাবারে একটু ভিনিগার দিতে। খাবার নরম হওয়ার পাশাপাশি এটা আপনার শরীরের ফ্যাট কমাতেও কাজ করে। অনেকেই আজকাল সকালে খালি পেটে গরম জলে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খান। এটাও পেটের সমস্যাকে যেমন কিছুটা ঠিক করতে সাহায্য করে তেমনি অতিরিক্ত চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।
৫. ফ্যাট খেলেও হেলদি ফ্যাট খান
খাবার খাওয়ার পর আমাদের পাকস্থলীতে ফ্যাট সব থেকে হজম হতে বেশি সময় নেয়। ফ্যাটের দুটো ধরন আছে। এক হলো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আর এক হলো অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট। চেষ্টা করুন রোজকার রান্নায় বা খাবারে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখতে, কিন্তু তাও পরিমাণ মেপে কারণ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হলেও এতে অনেক সময় অতিরিক্ত ক্যালোরি থাকে। 
৬. পানীয় বাছুন বুঝে
অনেকেই সকাল বেলায় শর্করাজাতীয় পানীয় খান। অনেকে চা বা কফি। চা বা কফি বা অতিরিক্ত শর্করা কোনোটাই ফ্যাট কমানোর জন্য ভালো নয়। বরং গ্রীন টি খাওয়া অভ্যেস করুন। বা উষ্ণ গরম জলে লেবু আর মধু খেতে পারেন।
৭. ফাইবার রাখুন খাবারে
প্রোটিন রাখার পাশাপাশি রোজকার খাবারে ফাইবারের পর্যাপ্ত যোগান রাখুন। কম ক্যালোরি, কম ফ্যাট শরীরে গেলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের মেদ কমতে থাকবে। বাদাম, প্রচুর পরিমাণে সবজি, এবং ফল খাওয়া অভ্যেস করুন।
৮. রিফাইন এবং প্রসেসড ফুড বন্ধ করুন
অনেকেই বেকারির ক্রীমি কেক, পেস্ট্রি খেতে ভালোবাসেন। কেউ রান্নায় অতিরিক্ত চীজ ভালোবাসেন। এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা ভালো কারণ এগুলো শরীরের সুগার পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেয়। তার জায়গায় গ্রীন স্যালাড, ওটস, ব্রাউন ব্রেড বেছে নিতে পারেন।
৯. শরীরচর্চা আবশ্যক
প্রতিদিনের রুটিনে শরীরচর্চার জন্যেও একটু সময় বরাদ্দ রাখুন। শুধু খাবারের ধরন পাল্টালেই মেদ ঝরানোর সম্ভব না। কায়িক পরিশ্রম সাথে দরকার। জিম যাওয়ার চেষ্টা করুন। না পারলে ফ্রী হ্যান্ড করুন। সকালে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটুন অন্তত এক ঘন্টা। জগিং একইভাবে করতে পারেন।
১০. আয়রনের প্রয়োজন আছে
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সাথে দেখতে হবে খাবারে ঠিকমতো সব খনিজ যাচ্ছে কিনা। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় রোজকার ডায়েটে আয়রন প্রায় থাকেই না। বাচ্চা এবং মহিলাদের শরীরে সব থেকে এই প্রবণতা দেখা যায়। প্রতিদিনের খাবারে আয়রনের পর্যাপ্ত যোগান রাখুন। আয়রন শরীরে কম গেলে থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিক ভাবে কাজ করে না। ফলে শরীরে ওবেসিটি, ক্লান্তি চলে আসে। সবুজ শাক সবজি, সামুদ্রিক খাবার, কিছু ফল আয়রনের ঘাটতি কমানোর জন্যে আদর্শ।
১১. উপবাস দরকার
খাওয়ার সাথে সাথে ঠিকঠাক ডায়েট মিলিয়ে উপবাস বা ফাস্টিংয়ের দরকারও আছে। নিজের লাইফস্টাইল এবং ডায়েট বুঝে ফাস্টিং রাখুন। এর ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমবে না।
১২. শেষ পাতে দই রাখুন
খাবার খাওয়ার পর অনেকেই শেষ পাতে মিষ্টি ভালোবাসেন। একটু কষ্ট করে মিষ্টির বদলে টক দই খাওয়া অভ্যেস করুন। টক দইতে থাকে lactobacillus যা খাবার হজম হতে সাহায্য করে।
১৩. অল্প পরিমাণে খান, বারেবারে খান
আমাদের মধ্যে অনেকের অভ্যেস আছে কাজের ধরন অনুযায়ী পরে সময় না পাওয়ার জন্যে একসাথে অনেকটা খেয়ে ফেলা। অনেক সময় রাতে শুতে যাওয়ার পর অস্বস্তি লাগতে থাকে। একসাথে অনেকটা খেলে হজম ঠিক ভাবে হয় না। ফলে অপাচ্য ফ্যাট শরীরে জমতে থাকে।
১৪. জল খান
জল খান বেশি করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল যেমন শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়া সুষম ভাবে করে, তেমনি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে শরীরের জমে থাকা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
১৫. সঠিক পুষ্টি
সবশেষে একজন ভালো পুষ্টিবিদের কাছ থেকে সঠিক ডায়েট বা খাদ্য তালিকা বেছে নিন। যোগাভ্যাস, বা স্বাস্থ্য করুন। সময় এবং ধৈর্য্য ধরুন। ঠিক ফল পাবেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply