সঙ্গী কি মিথ্যে বলছেন? এই সব কৌশলে বুঝে যান সহজেই
সঙ্গীর সঙ্গে রসায়ন ভাল। ভাল কথা। কোনও কাজই কেউ গোপন করেন না, এমন বিশ্বাসের ভিতও জবরদস্ত। সেও মন্দ নয়। কিন্তু তার মাঝেও কোথাও গুঁড়ি মেরে ঢুকে পড়েনি তো বড়সড় মিথ্যের বীজ? জীবনে চলার পথে ছোটখাটো নিষ্পাপ মিথ্যে কমবেশি অনেকেই বলেন। সে সব নিয়ে নির্ভেজাল হাসি-ঠাট্টাও হয় অনেক সময়।
কেউ বা কাছের কোনও মানুষকে কোনও বিপদ থেকে বাঁচাতে বা নিজের কোনও খুচখাচ সমস্যা এড়াতে মিথ্যে বলে থাকেন। কিন্তু কোনও বড়সড় সমস্যার কারণ ঘটিয়ে ক্রমাগত মিথ্যে বলে যাওয়া এ সব সরল আওতায় পড়ে না। কথায় কথায় অকারণে মিথ্যের ক্ষেত্রেও এটা অসুখের পর্যায়ে পৌঁছয়।
সঙ্গীর সোজাসাপটা মিথ্যে না হয় ধরে ফেলেন সহজেই। কিন্তু যদি দিনের পর দিন জটিল মিথ্যার জাল ছড়ায়, তখন? বিশ্বাস করাই ভালবাসার প্রকৃতি, কিন্তু সেই বিশ্বাসের সুযোগ কেউ অকারণে নিচ্ছেন না তো? সন্দেহ বাড়লে তা যাচাই করে নিতে পারেন আপনিও। একটু চেষ্টা করলেই এ সব মিথ্যেও ধরে ফেলা যায়। ঝগড়া না করেও কোন কোন কৌশলে তা সম্ভব জানেন?
প্রশ্নবাণ: সাধারণত একটি মিথ্যেকে ঢাকতে একাধিক মিথ্যের শরণ নেন অনেকেই। মিথ্যে সাজাতে যথেষ্ট যুক্তিও সাজিয়ে রাখেন। মন দিয়ে তাঁর কথাগুলো শুনুন। চেষ্টা করুন তাঁরই নানা কথার ফাঁকে সেই কথারই সূত্রে নানা প্রশ্ন করতে। মেজাজ গরম নয়, বরং হাসি-ঠাট্টার ছলেই চলুক প্রশ্ন। বার বার বিভিন্ন প্রশ্নের প্রভাবে এক সময় মিথ্যের ডিফেন্স ভেঙে যাবে। কোনও ছক কাজ না করলে ধরা পড়বে সত্যও।
ভুলে যাবেন না: একটি ঘটনার সঙ্গে অন্য ঘটনার যোগ থাক বা না থাক, সঙ্গীর প্রতি সন্দেহ এলে তাঁর বলা সব ক’টি কথা ও কাজ মনে রাখুন। মিথ্যের আশ্রয় নিলে সহজেই বুঝতে পারবেন। অনেকেই আগের সব কথা মনে রেখে মিথ্যের যুক্তি খাড়া করতে পারেন না। তাই মনে রাখুন সে সব।
আচরণ: মনোবিদদের মতে, মিথ্যে বলা কঠিন কাজ। তাই তার জন্য অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ হয়। তার প্রভাব পড়ে আচরণ ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজে। চোখে চোখ রেখে কথা না বলতে পারা, চঞ্চল হয়ে পড়া, নানা ভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার মরিয়া চেষ্টা ইত্যাদি দেখা যায় তাঁদের আচরণে। তিনি কথা ঘোরাতে চাইছেন কি না সে়টাও বুঝে নিন। অকারণে কথা ঘোরালে সচেতন থাকুন।
Tag: Featured
No comments: