Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বাজেট নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক




২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাজেট-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই বৈঠক শুরু হয় বলে জানা গেছে। মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর পরই তা জাতীয় সংসদে খসড়া আকারে উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিকেল ৩টায় তাঁর বাজেট বক্তৃতা শুরু হবে। গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। সূত্রমতে, এবারের বাজেটের আকার হতে পারে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা। এদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামের এবারের বাজেট হবে ‘স্মার্ট’ বাজেট। প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছে এই বাজেট। এবারের বাজেটের আকার বাড়লেও অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা হবে সংক্ষিপ্ত। তবে এ বক্তৃতার একটি বর্ধিত সংস্করণ বাজেট বই আকারে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে, যা সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য হবে সহজপাঠ্য। বাজেটের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী হলেও তা অর্জন করতে চেষ্টা হবে সাধ্যের মধ্যে। আর এর মধ্যেই থাকবে দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার। শুধু এক বছরের
জন্য নয়, সূদুরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে, বিশেষ করে ২০৪১ সালকে টার্গেট করে তৈরি হয়েছে এবারের বাজেট। বিজ্ঞপ্তিতে বলা আরো বলা হয়, রাজস্ব আদায়ে করের হার না বাড়িয়ে বরং করের আওতা বাড়িয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে এবারের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া সহজ করতে এনবিআরের জন্য নতুন করে দিকনির্দেশনা থাকবে। ভ্যাট আইন কার্যকর করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে এবারের বাজেটে। আইন কার্যকর করতে ভ্যাটের একাধিক স্তর থাকবে। কাস্টমস আইন ও আয়কর আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে সহজবোধ্য ও ব্যবসায় বান্ধব করা হবে। সব আমদানি-রপ্তানি পণ্য শতভাগ স্ক্যানিং করা হবে। গত জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে যোগ দেন। তিনি কিছুটা অসুস্থ। ফলে হাসপাতাল থেকে সরাসরি তিনি আজ সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আসেন। এটি সার্বিকভাবে দেশের ৪৮তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২০তম বাজেট হতে যাচ্ছে। আগামী অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় ১৭.৯২ শতাংশ বেশি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তিন লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের দায়িত্ব পাচ্ছে। এনবিআরবহির্ভূত রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত খাত থেকে আহরণ করা হবে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। আর বিদেশি অনুদান হিসেবে আসবে চার হাজার ১৬৮ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ৬৯ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে সরকারি কর্মীদের বেতন-ভাতার পেছনে। উন্নয়ন বাজেট হবে দুই লাখ দুই হাজার ৭২১ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় ২১.৩৮ শতাংশ বেশি। বাজেটে থাকা ঘাটতি এক লাখ ৪১ হাজার ২১২ কোটি টাকা পূরণে সরকার বিদেশি উৎস থেকে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি এবং দেশি উৎস থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা ঋণ নিতে যাচ্ছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply