Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ডিআইজি মিজানের দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরানো হলো এনামুল বাছিরকে




নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করা (সাময়িক বরখাস্ত) দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের স্থলে আজ বুধবার মঞ্জুর মোর্শেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুদকের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত দুদকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের পরিবর্তে এ বিষয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের পরিচালক জনাব মঞ্জুর মোর্শেদকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা এবং মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত), দুর্নীতি দমন প্রধান কার্যালয়, ঢাকাকে তদারককারী কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এমতাবস্থায়,পূর্ববর্তী অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুসন্ধান নথি বুঝে নিয়ে বিধি মোতাবেক অনুসন্ধান করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ এর আগে গত ১০ জুন পুলিশের বিতর্কিত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে দায়মুক্তি দিতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুদক। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। পরে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তদন্ত করতে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলওয়ার বখ্তকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, লিগ্যাল অনুবিভাগের মহাপরিচালক মফিজুর রহমান ভূঁইয়া ও প্রশাসন অণুবিভাগের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান। তারা প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পেয়েছেন এ কারণে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’ এর আগে নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু এই তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মিজানুর রহমান। গত ছয়মাস ধরে এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়ে যায়। রেকর্ড অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথমে ২৫ লাখ ও পরে ১৫ লাখ টাকা দিয়েছেন মিজানুর। কিন্তু গত ২ জুন খন্দকার এনামুল বাছির ডিআইজি মিজানুরকে জানান, তিনি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তবে দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারের চাপে তাঁকে অব্যাহতি দিতে পারেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিজানুর টাকাপয়সা লেনদেনের সব কথা ফাঁস করে দেন। প্রমাণ হিসেবে হাজির করেন এনামুল বাছিরের সঙ্গে কথোপকথনের একাধিক অডিও রেকর্ড। এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর তাৎক্ষণিক দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে দুদক। আজ কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় দুদকের কমিশনারের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা এবং তাকে দুদক পরিচালক থেকে বহিষ্কার করা হয়। ডিআইজি মিজানুর ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত জানুয়ারির শুরুর দিকে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তখন তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। মিজানুরের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। গত বছরের ৩ মে অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে মিজানুরকে দুদক কার্যালয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে মিজানুর রহমান এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী সোহেলিয়া আনারের আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ কোটি টাকারও বেশি সম্পদের খোঁজ পায় দুদক। মিজানুরের নামে ৪৬ লাখ ৩২ হাজার ১৯১ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৭২ লাখ ৯০ হাজার ৯৫২ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পাওয়ার কথা দুদকের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। তদন্ত শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় দুদক পরিচালকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার এই অভিযোগ পাওয়া যায়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply