টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে এডিপি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা জরুরি
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট অনেকটাই প্রত্যাশিত বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। বাজেটে নতুনত্বের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ রয়েছে বাস্তবায়নেও। টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে এডিপি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা জরুরি বলে মনে করেন তারা। এছাড়া মানবসম্পদ উন্নয়নে রফতানি নির্ভর খাতে গুরুত্ব দেয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।
'সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের' শীর্ষক ঘোষিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের পরিমাণ ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখা ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা আরো সমৃদ্ধ করতে এবারের বাজেট বাস্তবসম্মত বলছেন অর্থনীতিবিদরা। একইসঙ্গে তারা বলছেন শস্যবীমা, নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তার মতো বিষয়গুলো বাজেটে নতুনত্ব আনলেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে।
অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বলেন, নতুন করে এই মুহুর্তে বড় ধরনের কিছু বাজেটের মধ্যে আনার সুযোগ সরকারের ছিল না। সেদিক থেকে বাজেটটা যেমন ভেবেছিলাম তেমনি হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় যে প্রমিসের কথা বলা হয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। আমাদের সব কিছুর মূল লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র বিমোচন, আয়ের অসমতা দূর করা।
নতুন অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, এডিপিতে বরাদ্দ ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এরমধ্যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে খরচ করা হবে ১ লাখ ২৮ হাজার ৮২১ কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ বিদেশী অর্থায়নে। অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়নে এই অর্থ বরাদ্দ সরকারের বিশেষ পরিকল্পনা প্রমাণ করলেও এডিপি বাস্তবায়নে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, সার্বিক এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুটো দিক আছে, এক, মেগা প্রজেক্টগুলো তো বেশিরভাগটাই হচ্ছে বিদেশি অর্থায়নে, বিদেশিরাই করে দিচ্ছে। এখানে আমাদের সুপারভিশন রোলটা হলো গুরুত্বপূর্ণ। আর নিজস্ব অর্থে যে এডিপি বাস্তবায়ন করি, সেখানে ব্যাপক দুর্নীতি আছে। ফলে প্রজেক্টের গুণগত মান ভালো হয় না। প্রজেক্টের স্থায়িত্বকাল তো হয়ই না, ব্যয়ও বেড়ে যায়।
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
No comments: