নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সোনারামপুর গ্রাম
বর্ষার শুরুতে ভাঙনের কবলে পড়ে ক্রমশ বিলীন হচ্ছে
মেঘনা নদীর মধ্যবর্তী চর সোনারামপুর গ্রাম। প্রতিনিয়ত ঢেউয়ের গর্জন আর ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি ঝুঁকিতে আছে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ জাতীয় গ্রীডলাইনের একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ার। এ অবস্থায় ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি গ্রামবাসীর।
মেঘনা নদীর পূর্বপ্রান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, পশ্চিম প্রান্তে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা। এর মাঝখানে নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের নাম সোনারামপুর। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মাছ বিক্রি ও নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবছর বর্ষার শুরুতেই সোনারামপুর গ্রামে ভাঙন শুরু হয়। এ বছর ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় আতঙ্কে আছেন গ্রামের মানুষ।
আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, চর সোনারামপুর গ্রামটির অন্তত এক কিলোমিটার এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। বড় ধরণের প্রকল্প গ্রহণ না করা হলে চরের মানুষগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব হবেনা বলে মনে করেন তিনি।
আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন বলেন, প্রায় আড়াই কিলো জায়গাজুড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রয়োজন।
এদিকে মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ জাতীয় গ্রীড লাইনের বৈদ্যুতিক টাওয়ার হুমকির মুখে থাকলেও এই নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাজ্জাদুর রহমান। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা-খান জানান, ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
প্রায় দুশো বছর আগে আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা চর সোনারামপুর গ্রামে ৫ শতাধিক পরিবারের ৩ হাজার মানুষ বসবাস করেন।
No comments: