শিরোপা জিততে ইংল্যান্ডের চাই ২৪২ রান। একে তো ঘরের মাঠে খেলছে, দ্বিতীয়ত লক্ষ্যটা খুব একটা বড় নয়। তাই সহজেই এই রান চেজ করার কথা তাদের। কিন্তু এই মাঝারি সংগ্রহ টপকাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে স্বাগিতকদের। দলীয় ৭১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় স্বাগিতকরা।
আজ রোববার লর্ডসে অনুষ্ঠিত ফাইনালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইংল্যান্ড ২৩.১ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান করে।
কিন্তু প্রথমবার বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার মিশনে আগে ব্যাট করতে নেমে অতটা সফল নয় নিউজিল্যান্ড। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ওভারে মাত্র ২৪১ রানে থামে কেন উইলিয়ামসনের দল।
অবশ্য আজ ভোরে বৃষ্টির কারণে মাঠের আউটফিল্ড ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়াম সন। কিন্তু টস জিতে আগে চাপমুক্ত ব্যাট করার ফায়দা তুলতে পারেননি কিউই ব্যাটসম্যানরা।
ইনিংসের শুরুতেই পরপর দুইবার কিউই ব্যাটসম্যানদের এলবির ফাঁদে ফেলতে জোরালো দাবি তোলেন ইংলিশ বোলাররা। দুইবারই রিভিউ নিয়ে বেঁচে যায় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সপ্তম ওভারে আর রক্ষা হলো না। দলকে চাপে ফেলে ১৯ রানে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার গাপটিল। বরাবরের মতো শিরোপা ছোঁয়ার মঞ্চেও ব্যর্থতার ছায়া হয়ে থাকলেন নিউজিল্যান্ড কিউই এই ওপেনার।
শুরুতেই বিপদে পড়া নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। প্রতিটি ম্যাচেই দলকে টেনে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন আসরজুড়ে। বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বও করেছেন। সঙ্গে দলের বাকিদের সহায়তা। কিন্তু আসরজুড়ে আলো ছড়ানো অধিনায়ক শিরোপা মঞ্চে পারলেন না দায়িত্ব নিতে। ২৩তম ওভারে এলবির ফাঁদে ফেলে কিউই অধিনায়ককে বিদায় করেন প্লাঙ্ককিট। ফেরার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান।
দুই উইকেটে হারানো পর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওপেনার হেনরি নিকোলস। তুলে নেন ক্যারিয়ারের নবম হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরির পর টিকলেন না তিনিও। ফিরেন ৫৫ রানে। তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফেরার পর বেশ চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরাও ব্যর্থ হন দলের হাল ধরতে। ব্যাটসম্যানদের আশা-যাওয়ার মিছিলে টম লাথাম করেন ৪৭ রান। এছাড়া বাকি ছয় ব্যাটসম্যান ২০’এর ঘরও পার করতে পারেননি। ইংলিশদের গতির কাছে রান তুলতেও হিমশিম খেতে হয় ব্যাটসম্যানদের। যার কারণে নির্ধারিত ওভারে ২৪১ রানের বেশি তুলতে পারেনি নিউজিরল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে সমান তিনটি করে উইকেট নেনে ক্রিস ওয়াকস এবং প্লাংঙ্কিট। একটি করে নেন আদিল রশিদ এবং জোফরা আর্চার।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট : লর্ডসে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল টাই
Tag: Advertisement games lid news world
No comments: