ছুলি একটি চর্মরোগ। ছুলি শরীরের যে কোন স্থানে হতে পারে যেমন, মুখে, গলাতে, ঘাড়ে, কাঁধে, বগলে, বুকে, পেটে, হাতে ও পায়ে সহ বিভিন্ন স্থানে হয়ে থাকে। ছুলি একটি ছোঁয়াচে রোগ, পরিবারের কারো ছুলি হলে অন্য সুস্থ্য ব্যক্তির মাঝে ছুলি ছড়িয়ে পরতে পারে।
ছুলি কেন হয়?
ছুলি বিভিন্ন কারনে হতে পারে। তবে অ্যালার্জির কারনে ছুলি বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া ব্যাবটেরিয়া দ্বারা ছুলি প্রকোপ হতে পারে। প্রায় ৫০% রোগীর ক্ষেত্রে যাদের দীর্ঘস্থায়ী ছুলি হয়, এর কারণ একটি স্বয়ংক্রিয় ইমিউন প্রতিক্রিয়া।
ছুলি দেখতে কেমন হয়?
উন্মুক্ত স্থানে সাদা বা বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। স্যাঁতস্যাঁতে ও গরম আবহাওয়ায় ছুলির সংক্রমণ বেশী হয়। সাধারন ত্বকের থেকে ছুলির রং সাদা হয় এবং লোমগুলো সাদা বর্ণ ধারন করে।
ছুলি হলে করনীয়
ছুলি সাধারনত দীর্ঘমেয়াদী হওয়াতে এই রোগের মেডিসিন সেবন করতে হয় অনেক ধর্য্য ধরে। ছুলি রোগ সম্পূর্ণ সেরে তুলতে হোমিওপ্যাথি মেডিসিন ভালো সমাধান দেয়। তবে কিছু প্রাকৃতিক কিছু উপায় আছে যা ব্যবহার করলে ছুলি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১) লেবু ও মধু এক সাথে মিশিয়ে নিয়মিত সকাল ও রাতে ছুলির স্থানে লাগালে ছুলি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই ভালো ফলাফল পেতে ১ থেকে ২ মাস ব্যবহার করতে হতে পারে।
২) লেবুর রস ও হাইপো খুব ভালো কাজ দেয় ছুলি দূর করতে। প্রতিদিন গোসলের পূর্বে এই মিশ্রণ টি ভালো ভাবে ব্যবহার করলে ৩ সপ্তাহের মধ্যে ছুলি দূর হবে।
৩) পেঁয়াজের মধ্যে প্রচুর সালফার থাকে। যা ছুলির ত্বক স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত ছুলির চুলকানী দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে পেঁযাজ।
৪) সাদা তিল ও হলুদ খুব ভালো ফলাফল দেয় ছুলির জন্য। সাদা তিল ও কাঁচা হলুদ একসাথে বেটে ছুলির হওয়া স্থানে ১৫ মিনিটের জন্য লাগাতে হবে এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুঁয়ে ফেলতে হবে।
৫) টক দইতে প্রচুর ল্যাকটিক এসিড থাকে যা আমাদের ত্বকের যে তোন চর্মরোগের জন্য বেশ উপকারী। তবে বিশেষ করে ছুলির ক্ষেত্রে টক দই ব্যবহার করা উত্তম। গোসলের পূর্বে টক দই ছুলির উপর লাগিয়ে দিতে হবে এবং শুকিয়ে গেলে ধুঁয়ে ফেলতে হবে।
No comments: