শারীরিকভাবে সক্ষম হলেও জীবন যাপনের জন্য অন্যের কাছে হাত পাতেন দেড় লাখ হিজড়া। জড়ান নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে। কারণ, সমাজ এখনো তাদের গ্রহণ করেনি মানুষ হিসেবে। গোঁড়ামির সেই আবহ ভাঙতে শুরু করেছে একটু একটু করে।
তার হাতের ছোঁয়ায় সুন্দর মুখের গল্প। তাদের প্রতি আস্থার জায়গা একদিনে তৈরি হয় নি।
সরকারের হিজড়া জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান প্রকল্পের অন্যতম একটি ঢাকার পাশেই সাভারের এক বিউটি পার্লার। হাতেগোনা হলেও, এগিয়ে এসেছে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানও।
সাভারের গণবিদ্যালয়ের কর্মরত আছেন চারজন হিজড়া। নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে এক বারেই গ্রহণযোগ্যতা পাননি তারা।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেনে নিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মানিয়ে নিতে হয়েছে তাদেরও।
হিজড়া আন্দোলনকর্মীরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে পারিবারিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা এ জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন ন্যুনতম দাপ্তরিক প্রশিক্ষণের।
হিজড়া আন্দোলনের এক নেতা বলেন, 'আমরা এখন দাবি করছি যে আমাদের কাজ দিতে হবে। সেজন্য আমরা নানা জায়গায় কথা বলছি। তাই এখন ধীরে ধীরে হলেও পরিবর্তন আসছে।'
সমাজবিদদের মতে, সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি শৃঙ্খল ভাঙ্গতে হবে হিজড়া জনগোষ্ঠীকেও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, 'আমরা এখনও একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে আমাদের আশেপাশে দেখতে অভ্যস্ত নই। তাদেরকে মানুষ হিসেবে প্রাপ্য মর্যাদা দিলেই তাদেরকে কাজ দিতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ ব্যাপারে এখনও অনেক সচেতনতা তৈরির জায়গা আছে।'
দেশের এই হিজড়া জনগোষ্ঠী যারা এখন পর্যন্ত সামাজিক গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের কারণে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন না, তাদের যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়, তাদের ঘিরে যেসব নেতিবাচক কর্মকাণ্ড রয়েছে সেসব কর্মকাণ্ড থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারবেন। এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন।
হিজড়াদের নিয়ে গোঁড়ামির আবহ ভাঙতে শুরু করেছে
Tag: others
No comments: