স্বামী কোহলির মারধরে থানায় গিয়ে কাঁদলেন অভিনেত্রী
‘কসৌটি জিন্দেগি কে’ সিরিয়ালের অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন শ্বেতা তিওয়ারি। এরপর অভিনয় করে গেছেন একের পর এক হিন্দি সিরিয়ালে। সম্প্রতি থানায় অভিযোগ করেছেন, স্বামী ও শাশুড়ি নাকি তাকে মারধর করেন। রাতে মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় বাসায় ফিরে শ্বেতার প্রথম পক্ষের মেয়ে পলককেও নাকি মারধর করেছেন তার স্বামী আভিনেতা অভিনব কোহলি। অভিযোগ করেন, ২০১৭ সাল থেকে অভিনব নাকি পলককে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি দেখাতে শুরু করেন। থানায় ওই সময় শ্বেতার সঙ্গে ছিলেন মেয়ে পলকও।
মুম্বাইয়ের সমতানগর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে থানার বাইরে কান্নাকাটি করতে দেখা যায় শ্বেতা তিওয়ারিকে। প্রথম স্বামীর সঙ্গেও এমনই সমস্যা হতো তার। যার কারণে করেছিলেন ডিভোর্স। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামীর থেকেও একই ব্যবহার পেয়ে ভীষণ মর্মাহত শ্বেতা।
শ্বেতার অভিযোগ পাওয়ার পর তার স্বামীকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। এরপর থানায় পুলিশ অফিসারের সামনে বসে কথা বলে নিজেদের আপাতত সমস্যা মিটিয়ে নেন তারা। শ্বেতাকেও বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়েছেন অভিনব। পুলিশের কাছে কথা দিয়েছেন বউয়ের গায়ে আর হাত তুলবেন না অভিনব।
পুলিশের কাছে শ্বেতার দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, অভিনব কোহলির সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পরই তাদের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। তবে ওই সময় সংবাদমাধ্যমগুলোতে তা লেখা হলেও শ্বেতা ও অভিনব বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন। শ্বেতা জানান, স্বামী অভিনব, ছেলে রেয়ানশ আর মেয়ে পলককে নিয়ে তিনি খুব ভালো আছেন। পলকের বয়স এখন ১৯।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে অভিনব কোহলিকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। ‘বিগ বস ফোর’-এর সেটেই তাদের পরিচয়। বিয়ের আগে তারা তিন বছর প্রেম করেছেন। ২০১৬ সালে আবার মা হন শ্বেতা। তার ছেলের নাম রেয়ানশ। এর আগে রাজা চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হয় শ্বেতার। কিন্তু সেখানেও নির্যাতনের অভিযোগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় শ্বেতার। রাজা ও শ্বেতার মেয়ে পলক৷ এবার মা ও মেয়েকে মারধরের অভিযোগ উঠল অভিনবের বিরুদ্ধে
Tag: Entertainment
No comments: