Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » কোটালীপাড়ায় শিক্ষক পেটানো সেই ইউপি চেয়ারম্যানকে ৯ সদস্যের অনাস্থা




কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ, ছবি: সংগৃহীত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় শিক্ষক পেটানো কান্দি ইউনিয়নের সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পরিষদের ৯ সদস্য। গত বৃহস্পতিবার ৯জন ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব এনে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অনাস্থা প্রস্তাবকারী ৯ ইউপি সদস্য হলেন- অনাদি বৈরাগী অনুপ, মো. দুলাল বেপারী, মন্মথ রায়, মো. আমিনুল ইসলাম, নুর আলম সিকদার, মীরা টিকাদার, বাসুদেব হালদার, মিনু বাড়ৈ ও সুকলাল জয়ধর। লিখিত অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের ৯ সদস্য তাদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শিক্ষক পেটানো, অর্থ আত্মসাৎ, সাম্প্রদায়িক ইস্যু সৃষ্টি, পরিষদের সদস্য ও জনগণের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ ১৫টি অভিযোগ উত্থাপন করেন। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন তারা। অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ধারাবাশাইল বাজারে বসে গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অমূল্য রতন হালদারকে চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ ও তার ভাই মনি বাড়ৈ কথা কাটাকাটি জেরে পিটিয়ে আহত করেন। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এরপর শিক্ষক অমূল্য রতন হালদারের স্ত্রী মনি হালদার বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় পুলিশ চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈর ভাই মনি বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করে জেলা হাজতে প্রেরণ করেন। শিক্ষক পেটানোর ঘটনায় গোটা ইউনিয়নে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ঘটনার পর থেকে ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যানের বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ুমিছিল করে। অপরদিকে শিক্ষক সমিতি উপজেলা শাখার পক্ষ থেকেও তাকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। ইউনিয়নবাসী ও শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিবাদ কর্মসূচি হিসেবে ওই ৯ ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনাস্থা প্রস্তাব এনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য অনাদি বৈরাগী অনুপ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈর বিরুদ্ধে শিক্ষক পেটানো, অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেঙ্কারি, সাম্প্রদায়িক ইস্যু সৃষ্টি, পরিষদের সদস্য ও জনগণের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আমরা এতোদিন ভয়ে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারিনি। শিক্ষক পেটানোর পরে পুরো ইউনিয়নবাসী তার বিরুদ্ধে যখন ক্ষোভে ফেটে পড়ে তখন আমরা অভিযোগ দায়ের করি। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈকে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। কোটালীপাড়া শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাফায়েত হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, শিক্ষক হচ্ছে জাতি গড়ার কারিগর। জাতির মেরুদণ্ড। চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ শিক্ষকের গায়ে হাত দিয়ে জাতির মেরুদণ্ডে আঘাত করেছেন। এটা শিক্ষক সমাজের জন্য অসম্মান, অপমান। তিনি জাতির গড়ার কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলতে পারেন, তাহলে তার কাজ থেকে ইউনিয়নবাসী কী আশা করতে পারে? আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। অভিযোগের ব্যাপারে চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ঘটনার দিন কান্দি ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয় নিয়ে শিক্ষক অমূল্য রতন হালদারের সাথে ধারাবাশাইল বাজারে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষক অমূল্য রতন হালদার আমার বাপ-মা তুলে গালি দেয়। তখন আমার ভাই মনি বাড়ৈর সাথে তার হাতাহাতি হয়। অপরদিকে যে ৯ ইউপি সদস্য আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছে তারা পূর্বেও আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এনে প্রশাসনের কাছে দরখাস্ত করেছিল। সে সকল অভিযোগ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল। কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, কান্দি ইউনিয়নের ৯ ইউপি সদস্যের অনাস্থা প্রস্তাবের লিখিত অভিযোগটি আমি পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply