বিশ্বে প্রতি ঘণ্টায় ৯০ জন আত্মহত্যা করেন: হু
আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। ২০০৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশে সচেতনতামূলক দিন হিসেবে এটি পালন করা হয়। এই দিবসটি পালন করতে আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থার সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্য ফেডারেশন একসাথে কাজ করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, যুদ্ধ-সহিংসতায় প্রতি বছর যতো মানুষ প্রাণ হারান, তার চেয়েও বেশি মানুষ আত্মঘাতী হয়। সোমবার জাতিসংঘের বিশেষায়িত এই সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে গড়ে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মঘাতী হচ্ছেন। অর্থাৎ ঘণ্টায় আত্মহত্যা করছেন ৯০ জন।
ডব্লিইএইচও-এর মতে এই ধারার মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। এজন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। নতুন এই রিপোর্ট বলছে, প্রতি ছয় মিনিটে নয়জন মানুষ মারা যাচ্ছেন আত্মহত্যায়।
ডব্লিউএইচও’র মতে, একজন মানুষ নানা কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ব্যক্তিত্বজনিত সমস্যা, গুরুতর মানসিক রোগ, মাদকাসক্তি, অস্থিরতা, হতাশা কিংবা প্ররোচনা।
সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যু পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের জন্য হৃদয় বিদারক। এখনও আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। আমরা সব দেশকে টেকসই উপায়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধে কৌশল অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
ডব্লিউএইচও বলছে, প্রতিবছর আট লাখ মানুষ মারা যান শুধু আত্মহত্যায়। যা ম্যালেরিয়া, স্তন ক্যান্সার বা যুদ্ধ এমনকি হত্যাযজ্ঞের কারণে মারা যাওয়ার চেয়েও বেশি। আত্মহত্যাকে ‘বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের গুরুতর সমস্যা’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই ধারার মৃত্যু দ্রুত কমিয়ে আনার অন্যতম কার্যকর উপায় হতে পারে কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ করা। আত্মহত্যায় প্রায়ই কীটনাশকের ব্যবহার হয়ে থাকে আর প্রচণ্ড বিষাক্ত এসব কীটনাশকের কোনও প্রতিষেধক না থাকায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া প্রায়ই দুর্গম এলাকায় কীটনাশক ব্যবহার হওয়ায় কাছাকাছি কোনও চিকিৎসা সহায়তার সুযোগ থাকে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে শ্রীলঙ্কার গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে দেশটিতে কীটনাশক নিষিদ্ধ করায় আত্মহত্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমে গেছে।
Tag: world
No comments: