Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » জি কে শামীমের কাছে আটকে থাকা প্রকল্প পুনঃদরপত্রের পরামর্শ




অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা, মাদক ও অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার জি কে শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে আটকে গেছে সরকারের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প। শামীম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে এসব কাজ। পুনরায় দরপত্রের মাধ্যমে সৎ ও যোগ্য ঠিকাদার নিয়োগ করে এসব প্রকল্প শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্থিক ক্ষতি কমিয়ে প্রকল্পের কাজ চলমান রাখতে শামীমের প্রতিষ্ঠানে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। আর পরিকল্পনামন্ত্রী বলছেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজগুলো সময় মতো শেষ করতে সরকার সচেতন রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে রাজধানীর নিকেতন থেকে নগদ প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার চেক, মদ ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার হন যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম। এরপরই আলোচনায় আসে তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকা প্রকল্পগুলো। এরমধ্যে আছে- রাজধানীর আশকোনায় র‌্যাব সদর দপ্তর, গাজীপুরের র‌্যাব ট্রেনিং সেন্টার, আগারগাঁও এ জাতীয় রাজস্ব ভবন, পঙ্গু হাসপাতাল, নিউরোসাইন্স হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল সম্প্রসারণ, পিএসসি ভবন, ক্যাবিনেট ও অর্থ মন্ত্রণালয় ভবন ও মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতাল। প্রকল্পের খোঁজ নিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সবগুলোরই কাজ এখন বন্ধ। প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত জনবলের কয়েকজনের দেখা মিললেও পাওয়া যায়নি কোনো নির্মাণ শ্রমিক। প্রকল্প সুপার ভাইজার বলেন, আমাদের এখানে প্রতিনিয়ত ৫-৬শ’ লেবার কাজ করে, প্রতিদিন এদের পেমেন্ট করতে হয়। যখন আমাদের কাছে নিউজ আসছে যে স্যারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে এরপর থেকে আর কাজ চলেনি। সব লেবার চলে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব প্রকল্প এগিয়ে নিতে পুনরায় দরপত্র আহ্বানের পক্ষে মত দেন অর্থনীতিবিদরা। আর নির্মাণখাতের বিশেষজ্ঞরা বলেন, সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে। অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমানা বলেন, নতুনভাবে এ কাজের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেখানে যারা কাজ পাবেন তারা যেন সততার সঙ্গে কাজ পান সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। তারা সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন সে দক্ষতাও নিরূপন করতে হবে। জি কে শামীমের হাতে থাকা বড় বড় প্রকল্প থমকে গেলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা সে প্রশ্ন ছিল পরিকল্পনামন্ত্রীর কাছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘কোনো প্রকল্প যদি হুমকির মুখে পড়ে, তাহলে কীভাবে সমস্যা এড়িয়ে অতিদ্রুত কাজ করা যায় সে ব্যবস্থা নেব।’ জি কে শামীমের ১৭টি প্রকল্পের বেশিরভাগই রয়েছে বাস্তবায়নের মাঝ পর্যায়ে, ৩-৪টির শুরু হয়েছিল প্রাথমিক কাজ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply