হলি আর্টিজান মামলার রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ
রাজধানীর গুলাশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এছাড়া যাকে খালাস দেয়া হয়েছে, তার জন্য আমরা রায় পড়ে, বিশ্লেষণ করে আপিল করা গেলে আপিল করব।
তিনি আরও বলেন, এটা একটা জঘন্য ঘটনা। জঙ্গিরা এ দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এ হামলা চালায়। এ দেশে আইএসের কোনো হস্তক্ষেপ পাওয়া যায়নি।
মামলায় অভিযুক্ত ৮ আসামির মধ্যে একজন খালাস পেয়েছেন। তিনি হলেন- নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।
এর আগে, সকাল সোয়া ১০টায় প্রিজনভ্যানে কারাগার থেকে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে আনা হয়।
এদিকে হলি আর্টিজান মামলার রায়কে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণসহ সারাদেশে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর সড়কের পাশে অবস্থিত হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালান। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হন। এরপর হলি আর্টিজান বেকারি থেকে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হামলার ৩ দিন পর ৪ জুলাই রাতে গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। এর দুই বছর পর তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই জীবিত আট হামলাকারীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
একই বছরের ২৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারকাজ শুরু করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ৩ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে শুরু হয় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থান শেষে গত ১৭ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেন বিচারক মজিবুর রহমান।

No comments: