চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের বন্দী শিবিরে লাখো উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতনের ব্যাপারে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে যুক্তরাজ্য।
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের নিরাপত্তা বেষ্টিত কয়েকটি বন্দী শিবিরে গোপনে কয়েক লাখ উইঘুর মুসলিমদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)।
বিবিসির অনুসন্ধানমূলক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম প্যানারামা কর্তৃক জানা যায়, বিচার ছাড়াই প্রায় কয়েক লাখ মুসলিমদের এসব শিবিরে বছরের পর বছর বন্দী রাখা হয়েছে।
উইঘুর মুসলিমদের ওপর এসব নির্যাতনের তথ্যের নথি গত রোবরার প্রকাশ করা হয়েছিলো। নথিতে বিনা বিচারে মুসলিমদের বন্দী করে রাখা, মগজধোলাই এবং শাস্তির যাবতীয় কিছু স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তবে যুক্তরাজ্যে দায়িত্বরত চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং এসব তথ্য ফাঁসকে অনেকটা ভুয়া সংবাদ বলে দাবি করেছেন।
চীনের পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিচার বহির্ভূতদের আটকের বিষয়ে আমাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে।
আইসিআইজে চীন সরকারের নথীগুলোকে ‘দ্য চায়না কেবলস’ বলে উল্লেখ করেছেন। ২০১৭ সালে ফাঁস হওয়া সরকারের এ নথিটি মোট ৯ পৃষ্ঠার। নথিতে বলা হয়েছে, কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রাখা, শাস্তি প্রদান এবং কেউ যাতে বন্দী শিবির থেকে পালাতে না পারে সে ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি উৎসাহ দানের নিমিত্তে সেখানকার ডরমেটরি ও শ্রেণীকক্ষগুলো যাতে নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে সব সময় তা সিসিটিবির আওতায় আনার ব্যাপারে কঠোর আদেশ জারি করা হয়েছে।
সর্বোপরি, নথিগুলোতে কিভাবে একজন আটক ব্যক্তির সম্পূর্ণ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা যায় অর্থাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে সন্ধায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় দরজা বন্ধ করার বিষয়েও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে ৯ পৃষ্ঠার ওই নথিতে।
চীনের বন্দী শিবিরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করলো যুক্তরাজ্য
Tag: world
No comments: