Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ভোট কারচুপির অভিযোগে করা মামলার শুনানি চায় না বিএনপি




গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরপরই কারচুপির অভিযোগ করে বিএনপি ৭৪টি মামলা করলেও এখন আর সেগুলোর শুনানি চায় না তারা। দলের নেতাদের মতে, শুনানি করাতে গেলেই বিপদ, হাইকোর্ট সে নির্বাচনকে বৈধতা দিয়ে দেবে, তাই আইনি পদক্ষেপ থেকে সরে এসেছেন তারা। ওদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, নিজেদের সাংগঠনিক ব্যর্থতা বুঝতে পেরেই বিএনপি মামলার ব্যাপারে চুপ হয়ে সংসদে এসে যোগ দিয়েছে। গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। সে নির্বাচনে ভরাডুবির পর ভোট ডাকাতির অভিযোগ তোলে দলটি। হাইকোর্টে ৭৪টি মামলা করে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা। বাতিল চাওয়া হয় ভোটের ফলাফল। এ মামলাগুলো পরিচালনায় আইনজীবীদের প্যানেলও গঠন করেন তারা। শুনানির জন্য বেঞ্চও গঠন করে হাইকোর্ট। নির্বাচনের এক বছরেও এসব মামলার শুনানির কোন উদ্যোগ নেয়নি দলটি। বিএনপি নেতারা বলছেন, কৌশলগত কারণে তারা মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ থেকে সরে এসেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ওই নির্বাচনের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন রাতের ভোট বন্ধ করতে চান। অর্থাৎ উনিও জানেন ভোট রাতেই হয়েছে। কার কাছে যাবো! যেখানে সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। বিএনপির আইনজীবী নেতা জয়নুল আবেদীন বলেন, বিচার বিভাগের ওপর তাদের হাত এতই লম্বা যে এমন অবস্থাও করতে পারে যে অবৈধ নির্বাচনকে বৈধ করে দিতে পারে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, নিজেদের ব্যর্থতার বিষয়টি বুঝতে পেরেই মামলার পথ ছেড়েছে দলটি। তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা বুঝতে পেরেছে এগুলো নিয়ে লাভ হবে না। আদালতে এগুলো টিকবে না। তাই তারা আর এগুলো নিয়ে কাজ করেনি। আর এখন নির্বাচন নিয়ে যে আন্দোলনের হুমকি তা তাদের কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্যে। আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম বলেন, জনগণকে আন্দোলনে নিয়ে আসার মত কোন কারিশমা তারা দেখায়নি। মানুষ তাদের সাথে নামে নাই। নামার কোন সম্ভাবনা নাই। অনেক আসনের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে তারা মামলা করেছে। শুধু করেই রেখেছে। সেটা গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য হতে পারে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুললেও বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের সংসদে যোগ দেয়াকে দ্বৈত আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply