আজ ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস
। ১৯৬৯ সালের এদিনে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ১১ দফা আন্দোলনের হরতাল চলাকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
সেই থেকে দিনটি শহীদ আসাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আসাদ ছিলেন নরসিংদীর সন্তান। আজ সোমবার (২০ জানুয়ারী) ৬৯’ গণঅভ্যূত্থানের মহানায়ক আসাদুজ্জামান আসাদের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (২০ জানুয়ারী) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে শহীদ আসাদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক ঐক্য, জাতীয় ছাত্রদল। বিভিন্ন সংগঠন ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অনেকেই।
এসময় তারা শহীদ আসাদ স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। এছাড়া আসাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের শপথ করেন। বলেন, শহীদ আসাদ যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য জীবন দিয়েছিলেন, সেই রাষ্ট্র ব্যবস্থা এখনো কায়েম হয়নি।
শহীদ আসাদের পুরো নাম আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি ১৯৪২ সালের ১০ জুন হাতিরদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ আবু তাহের বিএবিটি হাতিরদিয়া সাদত আলী হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক।
১৯৬৯ সালে ১৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটির সমাবেশ থেকে ১১ দফা দাবিতে এবং পুলিশ-ইপিআর বাহিনীর ছাত্র-জনতা ওপর বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি পূর্ণ দিবস হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। গর্ভনর মোনায়েম খাঁন ওই দিন ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। ১১ দফা দাবিতে প্রায় ১০ হাজার ছাত্রে বিশাল মিছিল ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে পুলিশ বাধার মুখে পড়ে। আসাদসহ কিছু ছাত্র ছত্রভঙ্গ মিছিলটি আবার সংগঠিত করে ঢাকা হলের (বর্তমান শহীদুল্লাহ হল) পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময়ই পুলিশের গুলিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কে আসাদ শহীদ হন।
আসাদ শহীদ হওয়ার পর ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথে। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আইয়ুব খানের। এরপরই স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় বসে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
No comments: