Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ফতুল্লায় রহিমকে হত্যার দায় স্বীকার করলেন আসিফ




নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী আব্দুর রহিমকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ‘ঘাতক’ সাদ্দাম হোসেন আসিফ। একইসঙ্গে অপর একটি আদালতে হত্যার আলামত নষ্ট করার দোষ স্বীকার করে একই ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আসিফের মা রিজিয়া বেগম ও খালা সুলতানা। এছাড়াও আদালতে হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী বাবু ওরফে নাটু এবং রিপন সরদার হত্যাকাণ্ডের পুরো বর্ণনা করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাবনবন্দি দেন। আদালতকে তারা জানিয়েছেন, তাদের দু’জনের সামনেই সাদ্দাম হোসেন আসিফ একাই আব্দুর রহিমকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নূরুন নাহার ইয়াসমিন ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবরীরের আদালত পৃথকভাবে তাদের ওই জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সাদ্দাম হোসেন আসিফ মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার আমির খসরুর ছেলে এবং হত্যার শিকার আব্দুর রহিম একই এলাকার ইলিয়াস সদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ঈমান আলীর ছেলে। আব্দুর রহিম হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। আদালতে জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি আসলাম হোসেন জানান, পাওনা বিশ হাজার টাকা নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে সাদ্দাম হোসেন আসিফ নিজেই আব্দুর রহিমকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। সে নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। একইসঙ্গে তার মা রাজিয়া বেগম হত্যার পর ছুরির রক্ত ধুয়ে ফেলে সেটি আসিফের খালার কাছে দেন। পরে খালা সুলতানা বেগম সেই ছুরি পানিতে ফেলে দেন বলে আদালতে তারা নিজেদের এই অপরাধ স্বীকার করেন। তিনি আরও জানান, বাবু ওরফে নাটু এবং রিপন সরদার নামে দু’জন ওই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। আমরা এ দুজনকেও আদালতে হাজির করেছি। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী হিসেবে ঘটনার বর্ণনা করেছেন। ওসি বলেন, আব্দুর রহিম হত্যার পর গত ৪৮ ঘণ্টায় একটানা এ নিয়ে কাজ করে মামলার বিচারিক কার্য শুরু করার সবগুলো ধাপ প্রায় শেষ করেছি। এর মধ্যে আসামি শনাক্ত করা থেকে শুরু করে তাদেরকে গ্রেফতার এবং হত্যার কারণ উদঘাটনসহ প্রত্যক্ষদর্শী দুজন স্বাক্ষীকে আদালতে হাজির করি। এখন আর এই হত্যায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে কোনো সমস্যা হবে না। শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে মাদক বিক্রির পাওনা টাকা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফতুল্লার মাসদাইর গুদারঘাট এলাকার ফারুক ওরফে নষ্ট ফারুকের মোবাইলে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে আব্দুর রহিম নামের ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে রাখা হয়। পরে খবর পেয়ে তার পিতা ঈমান আলী এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে খানপুর হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত রহিমের মা রহিমা বেগম বাদি হয়ে ওই রাতেই ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ শনিবার ভোরে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি পাঁচগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় সরাসরি জড়িত সাদ্দাম হোসেন আসিফকে এবং মাসদাইর থেকে তার মা রিজিয়া বেগমকে ও কাশিপুর চর নরসিংপুর থেকে সুলতানা বেগমকে গ্রেফতার করে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply