সম্প্রতি ১১ ভারতীয় নাগরিকের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে মুখ খুলেছেন আলোচিত বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি বলেছেন, কেউ বললেই তাকে আমি ইসলাম ধর্মে দীক্ষা দেই না।
বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) ফরিদপুরের এক মাহফিলে অংশ নিয়ে এ দাবি করেন তিনি।
সম্প্রতি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের এক মাহফিলে ১১ ভারতীয়র ইসলাম গ্রহণ করা নিয়ে বেশ সমালোচিত হন মিজানুর রহমান আজহারী। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
তবে ফরিদপুরের ওই মাহফিলে তিনি দাবি করেন, সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ বিষয়ে ভুল বার্তা দেয়া হয়েছে।
মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, সেই মাহফিলের (রামগঞ্জের মাহফিল) আয়োজক কমিটির সদস্যরা আমাকে জানায়, একই পরিবারের ১১ জন হিন্দু মুসলমান হবেন। এদের মধ্যে চারজন আমীর হামজার কাছে কালেমা পাঠ করেছেন। আর বাকি ছয়জন আপনার কাছে বায়াত হতে চান। সেখানে আমি অপারগতা জানাই। আমি রাজি না হলে উপস্থিত অন্য আলেমের কাছে ওই পরিবারটি মুসলমান হয়। কিন্তু মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয় লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের ১১ হিন্দু মিজানুর রহমানের হাতে হাত রেখে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, পরদিন শুনি ওই পরিবারটি ভারতীয়। পরিবারের কর্তা মুসলমান ছিলেন। কিন্তু ছোটবেলায় হারিয়ে ভারতে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে হিন্দু ধর্ম পালন করেছেন। বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রী, সন্তানেরা সবাই হিন্দু। এ নিয়ে দেশজুড়ে অতি উৎসাহের দেখা দেয়। পরে শুনি সরকার তাদের ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে। আপনাদের এই অতি উৎসাহের জন্য এমনটা হয়েছে।
সম্প্রতি মৌলভীবাজারে এক মাহফিলেও এক বৌদ্ধ ইসলাম গ্রহণ করতে এলে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান আজহারী।
সেদিন প্রসিদ্ধ আলেম শাইখ জামান ভাইয়ের কাছে কালেমা পাঠ করে মুসলমান হন ওই বৌদ্ধ। আহারির দাবি, মিডিয়ায় ওই বৌদ্ধকে তিনিই কালেমা পড়িয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়।
আজহারী বলেন, অন্য ধর্ম থেকে কেউ মুসলিম হতে আসলে তিনি কি কারণে ইসলাম গ্রহণ করতে চান, সেচ্ছায় সজ্ঞানে কিনা, তার ওপর কেউ চাপ সৃষ্টি করছে কিনা-এসব যাচাই করবেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। এরপর ওই ব্যক্তিকে নিয়ে স্থানীয় জুমার মসজিদে গিয়ে চেয়ারম্যান খতিবের কাছে কালেমা পাঠ করিয়ে তাকে ইসলামে দীক্ষিত করাবেন। আর এ সবই হবে রাষ্ট্রীয় আইন মেনে এফিডেভিট করে।
No comments: