Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » এনআরসি আতঙ্কে ভোটার তালিকা সংশোধনে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৭৩ লক্ষ




ভোটার তালিকা সংশোধনে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৭৩ লক্ষ

নাম তোলার হিড়িক সিএএ-এনআরসি নিয়ে আতঙ্কের বাতাবরণে ভোটার তালিকায় নিজের নাম সুনিশ্চিত করতে ঝাঁপিয়েছে রাজ্যবাসী। ১৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ভোটার তালিকা সংশোধনে অংশগ্রহণকারী নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৩ লক্ষ, যা সর্বকালীন রেকর্ড। নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্ক থেকেই ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা সংশোধনের হিড়িক পড়ে গিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যাঁদের ভোটার তালিকায় বা ভোটার কার্ডে কোনও ভুল রয়েছে, তাঁরা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন। সেই সংখ্যাও অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। তবে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন প্রায় তিন লক্ষ জমা পড়লেও, প্রতিটি ক্ষেত্রে ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও)-কে বারংবার যাচাই করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আবেদনকারীকে সশরীরে সমস্ত বৈধ কাগজপত্র নিয়ে শুনানি পর্বে হাজির হতে হবে। কোনও ভোটারের নাম যেন অযৌক্তিক কারণে বাদ না যায়, তার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস ধরে রাজ্য জুড়ে ভোটার তালিকা যাচাইপর্ব চলে। সেই সময়ই এনআরসি আতঙ্ক শুরু হওয়ায় রাজ্যে ১০০ শতাংশ ভোটারই এই যাচাই করেন। এরপরে ১৬ ডিসেম্বর ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হয়। এক মাস ধরে তা চলে। নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাদে ২৩টি জেলায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হয়। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য প্রশাসনের সকলে খুবই ব্যস্ত থাকায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য তা পাঁচদিন বাড়িয়ে ২০ জানুয়ারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি যাঁদের বয়স ১৮ হবে, তাঁরাই ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ছ’নম্বর ফর্মে আবেদন করতে পারবেন। সেই আবেদনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ লক্ষের বেশি। যা অতীতে কখনও হয়নি। একইরকমভাবে রেকর্ড হয়েছে নাম সংশোধনের জন্য আট নম্বর ফর্ম জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও। ২৩টি জেলা থেকে আসা হিসেব অনুযায়ী, সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ লক্ষের বেশি। আবার নাম বাদ দেওয়ার আবেদন, সাত নম্বর ফর্ম জমা পড়েছে প্রায় তিন লক্ষ। নাম পরিবর্তন করার আবেদন জমা পড়ার সংখ্যাও কম নয়। এনআরসি আতঙ্কে অনেক নাগরিক তাঁর পরিচয়পত্র পরিবর্তনের আবেদন করেছেন। এপিক ০০১ ফর্ম পূরণ করে সেই আবেদন করতে হয়। সব মিলিয়ে ভোটার তালিকায় সংশোধনের জন্য আবেদনপত্র জমা পড়েছে প্রায় ৭৩ লক্ষ। এটা সর্বকালীন রেকর্ড। এর আগে আবেদনের সর্বাধিক সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষ। সাধারণত বিধানসভা ভোটের বছরে ফর্ম জমা দেওয়ার সংখ্যা বেশি পড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এখনও দু’দিন বাকি। ফলে আবেদনপত্রের সংখ্যা বেড়ে ৭৫ লক্ষ হতে পারে বলে কমিশনের কর্তারা অনুমান করছেন। প্রতিটি আবেদনের শুনানি হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাদে বাকি সব জেলায় আগামী ২৭ জানুয়ারির মধ্যে সেই শুনানি পর্ব শেষ করতে হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। একমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। নতুন নাম তোলার ক্ষেত্রে এবং ভোটার কার্ড পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন রঙিন, স্মার্ট ভোটার কার্ড পাবেন। নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়ার আগে ভোটার তালিকায় নাম থাকাটা অন্যতম হাতিয়ার বলে মনে করছেন রাজ্যবাসী। সে কারণেই সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে সংশোধনের আবেদন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply